প্রতিবেদন : বাগবাজারে সারদা মায়ের বাড়ি (Mayer bari) কলকাতার অন্যতম একটি দর্শনীয় জায়গা। প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের প্রচুর পর্যটক আসেন সেই ঐতিহ্যবাহী বাড়ি দেখতে। যান সারদা মায়ের নামাঙ্কিত ‘মায়ের ঘাট’-এও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে সেই বাড়ি ও তৎসংলগ্ন এলাকাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হোক। কলকাতা পুরসভা অনেকদিন ধরেই সেই দায়িত্ব নিয়েছে। ধাপে ধাপে ওই এলাকা সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। পুরসভা সূত্রে খবর, সারদা মায়ের বাড়ি ও ঘাটের আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩০০ পরিবার ঝুপড়িতে থাকেন। রাজ্য সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে তাঁদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। বস্তিবাসীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮০টি পরিবারকে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকিদেরও স্থানান্তরিত করে সারদা মায়ের বাড়ি থেকে মায়ের ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় নতুন করে গাছ লাগিয়ে ও আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই রামকৃষ্ণ মিশনকে দেওয়া পুরসভার একটি জমিতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দ্বিতীয় দফার ফ্ল্যাট তৈরির কাজ চলছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় কাউন্সিলর বাপি ঘোষ, বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারকে নিয়ে সেই কাজ দেখতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সারদা মায়ের বাড়িতেও (Mayer bari) যান তিনি। মহানাগরিক জানিয়েছেন, সারদা মায়ের বাড়ি ও ঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৩০০টি গরিব পরিবার বসবাস করেন। ইতিমধ্যেই ৮০টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এবার যে বাড়ি হচ্ছে, সেখানে ১০০টি পরিবারকে শিফট করা হবে। আগামী বছরের পুজোর মধ্যে এই কাজ হয়ে যাবে। সারদা মায়ের বাড়ি ও ঘাটের গুরুত্ব ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে ও ঐতিহাসিক দিক থেকে অপরিসীম। তাই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই কাজ চলছে। পুরসভা সূত্রে খবর, এই দফায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১১টি টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ফ্লোরে থাকবে ৪০০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট চারটি করে ফ্ল্যাট। এই কাজ সম্পন্ন হলে সারদা মায়ের বাড়ি ও মায়ের ঘাট বিদেশি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হবে।