প্রতিবেদন : চূড়ান্ত অসভ্যতা বাংলাদেশে (Bangladesh)! জোরজবরদস্তি পিছিয়ে দেওয়া হল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন-শুনানি। আইনজীবীদের মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাঁদের আদালতে সওয়াল করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হল। শুধু তাই নয়, চিন্ময়প্রভুর আইনজীবী রমেন রায়ের বাড়িতে অমানবিক হামলা চালাল বাংলাদেশের (Bangladesh) কট্টরপন্থীরা। গুণ্ডাবাহিনীর মারধরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়প্রভুর জামিন-মামলার শুনানি থাকলেও কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করতে রাজি হলেন না। ফলে প্রায় একমাস পিছিয়ে গেল শুনানি। এর মধ্যেই শ্যামদাস প্রভু নামে আরও এক সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে হলে বাংলাদেশের সন্ন্যাসীদের গেরুয়া বসন ত্যাগ ও তিলক না পরার পরামর্শ দিলেন কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস। তিনি জানিয়েছেন, এই সঙ্কটের সময়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। খুব সাবধানে থেকে সংঘাত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা উচিত। এখন গেরুয়া বসন পরবেন না। কপালে তিলক লাগাবেন না। একান্তই গেরুয়া পরতে চাইলে এমনভাবে পরুন, যাতে অন্য পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকে। সম্ভব হলে মাথাও ঢেকে রাখুন। ধর্মীয় পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন- ফসলবিমা নিয়ে অভিষেকের প্রশ্নে মুখোশ খুলে গেল কেন্দ্রের
গত ২৬ নভেম্বর দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ধৃত চিন্ময়প্রভুকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করা হলে তাঁর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ৫১ জন আইনজীবী। অথচ মঙ্গলবার ফের জামিন মামলার শুনানিতে প্রাণের ভয়ে চিন্ময়ের পাশে দাঁড়াতে পারলেন না কোনও আইনজীবী। ফলে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হল। সোমবার তাঁর আইনজীবী রমেন রায়ের বাড়িতে ঢুকে কট্টরপন্থীরা ভয়ঙ্কর হামলা চালায়। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভেন্টিলেশনে থেকে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। অন্য আইনজীবীদের বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে। আবার চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে সওয়াল করায় চট্টগ্রাম থানায় মোট ৭০ জন আইনজীবীর নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের এমন আতঙ্কের সময়েও ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।