প্রতিবেদন : তা হলে কি তালিবানি শাসনের কবলে যাচ্ছে বাংলাদেশ? সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে এবার দেশে জারি হয়েছে ভয়ঙ্কর ফতোয়া। মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর নারী স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ ইউনুস প্রশাসনের। মহিলাদের বাজারে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌলবাদীরা। সরকারের আর্জি মেনে গোপন ডেরা থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণ না দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন-কুলতলিতে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত ১, পকসো আদালতে কাল সাজা ঘোষণা
পাশাপাশি, এবার পাকিস্তানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। ভিসার নিয়ম বদলে বিশ্বের যেকোনও দেশ থেকে পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে আসার পথ আরও প্রশস্ত করার নিদান দিয়েছে ঢাকা। ফলে বাংলাদেশে পাক জঙ্গিদের অন্যতম ঘাঁটি গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওপার বাংলায় দ্রুত পরিস্থিতি বদলের সঙ্গে তাই কলকাতায় পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে আরও সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বলেছেন, বাংলাদেশে লাগাতার সংখ্যালঘু নির্যাতন অত্যন্ত বেদনাদায়ক! কিন্তু সেটা একটা আলাদা দেশ। তাই বাংলাদেশের এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপকেই সমর্থন জানাবে তৃণমূল সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও বলিষ্ঠ পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি!
আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে রাশ, একগুচ্ছ নির্দেশিকা চিকিৎসকদের
নোবেল ‘শান্তি’ পুরস্কারপ্রাপ্ত মহম্মদ ইউনুস সরকারের শাসনে বাংলাদেশ আবার ফিরে যাচ্ছে প্রস্তরযুগে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। আফগানিস্তানের পর এবার বাংলাদেশেও তালিবানি শাসন জারি হওয়া কেবলই সময়ের অপেক্ষা। সংখ্যালঘু নির্যাতনের পাশাপাশি চলছে লাগাতার হিন্দুদের মন্দির, ঘর-বাড়ি ভাঙচুর। সুনামগঞ্জে মন্দিরের হামলার ছবি ছড়িয়েছে সমাজ মাধ্যমে। আবার সম্প্রতি গোপালগঞ্জের একটি বাজারে মৌলবাদীদের ফতোয়া জারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইসলামি পোশাক পরা একদল লোক বাজারে মহিলারা এলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এছাড়াও নামাজের সময় বাজারে কেনা-বেচা বন্ধ রাখারও নিদান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে প্রবেশ আরও সহজতর করার নির্দেশও দিয়েছে ঢাকা। বিভিন্ন দেশের সমস্ত বাংলাদেশি দূতাবাস ও উপদূতাবাসে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, বাংলাদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভিসা দিতে হবে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদেরও যাতে ভিসা পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশবিরোধী’ তকমা দিয়ে ইউনুস সরকার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কাছে আর্জি জানায়, দেশের বাইরে থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যেন ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণ না দেন। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ আদেশ দেয়, শেখ হাসিনা বিদেশে বসে দেশের নিন্দামন্দ করতে পারবেন না।