সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: বেনজির অরাজকতা চলছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। ভারতবিরোধী জিগির, জাতীয় পতাকার অবমাননা, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে। অথচ সংসদের অধিবেশন চললেও তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মোদি সরকার। লোকসভায় চিন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর, কিন্তু বাংলাদেশ ইস্যুতে তিনি নীরব! এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রচারের বাইরে বাংলাদেশ ইস্যুতে অবিলম্বে সংসদে বিবৃতি দেওয়ার দাবি তুললেন লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে মুখ খুলুন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর।
আরও পড়ুন-সিরিয়ায় ঘরছাড়া ৫০ হাজার, বাড়ছে আশঙ্কা
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিন দুয়েক আগে বক্তব্য রাখার সময়েও একই দাবি তুলেছিলেন। তারপরেও মোদি সরকারের কোনও হেলদোল নেই৷ ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী, কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি পুরো নীরব৷ এই পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে আরও একবার সোচ্চার হলেন সুদীপ৷ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে তাঁর দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত৷ এই ক্ষেত্রে ভারত সরকারের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত৷ বিদেশসচিব সেখানে গিয়ে ওদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন৷ আমরা লোকসভায় অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে আছি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত সরকারের অবস্থান জানার জন্য৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্য দলের সাংসদরাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানতে চাইছেন৷ এই প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকেও সমর্থন করেছেন৷ তাঁর কথায়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস রাখা কোনও দেশই বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহকে সমর্থন করবে না৷
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের মতো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিদেশনীতির প্রশ্নে দল কেন্দ্রের পাশে। তরপরেও সেখানকার সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র
চুপ কেন?