প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত বৌদ্ধচর্চার বিশিষ্ট পণ্ডিত সুনীতিকুমার পাঠক

তাঁর সংগ্রহ গোটা দুনিয়ায় অমূল্য রত্নভাণ্ডার বলে খ্যাত। সুনীতিকুমার তিব্বতি ভাষা এবং বৌদ্ধচর্চার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিলেন।

Must read

বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) অবনপল্লিতে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত বৌদ্ধচর্চার বিশিষ্ট পণ্ডিত ও ভাষাবিদ সুনীতিকুমার পাঠক ৷ ১৯৫৪ সালে বিশ্বভারতীতে ভারত-তিব্বতি চর্চার (ইন্দো–টিবেটান স্টাডিজ়) শুরু তাঁর হাতেই ৷ নিজের গবেষণার জন্য পায়ে হেঁটে হিমালয়ের বিভিন্ন দুর্গমতম স্থানে ভ্রমণ করেন তিনি। বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যাও বাধা হয় নি তাঁর জীবনে। শেষ বয়স পর্যন্ত নিজের কাজ করে গিয়েছেন। বৌদ্ধ ধর্ম এবং সংস্কৃতির যে সকল পুঁথি তিনি সংগ্রহ করেছিলেন, সেসব রীতিমত বিরল এবং দুষ্প্রাপ্য।

আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া জোট থেকে রাজ্য রাজনীতি, খোলাখুলি মুখ্যমন্ত্রী

তাঁর সংগ্রহ গোটা দুনিয়ায় অমূল্য রত্নভাণ্ডার বলে খ্যাত। সুনীতিকুমার তিব্বতি ভাষা এবং বৌদ্ধচর্চার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিলেন। তিনি অধ্যাপনা করতেন, কিন্তু জীবন থেকে কিছু শেখার তাগিদই তাঁকে গবেষণার দিকে টেনেছে। বিদেশেও তাঁর গবেষণাকে প্রামাণ্য ধরে পড়ানো হয় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ইউরোপ–আমেরিকা সফরেও গিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন-এবার রাজ্যকে সমর্থনে বাধ্য বিরোধী নেতাও, বিদেশে সরাসরি উড়ান পরিষেবা

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে সুনীতিকুমারের উদ্যোগে ১৯৫৪ সালে শুরু হয়েছিল ভারত-তিব্বতী চর্চা। সেই সময় থেকেই শান্তিনিকেতনে থাকতেন তিনি। ১৯২৪ সালের পশ্চিম মেদিনীপুরের মলিঘাট গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। বড় হয়ে ওঠা মামাবাড়িতে। সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। বড় একটা সময় তিব্বতী ভাষাশিক্ষায় ব্যয় করেন তিনি। সুনীতিকুমার পাঠক ১৯৫৪ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথি বিভাগে যোগ দেন।

Latest article