শম্ভু সীমান্ত থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শুরু হল কৃষকদের অভিযান (Farmers Agitation)। ১০১ জন কৃষকের কনভয় এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ আম্বালার দিক থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরমাঝে হরিয়ানা পুলিশ ঘোষণা করছে আম্বালায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কৃষকদের আর না এগোনর আহ্বান জানানো হয়েছে। শম্ভু সীমান্তে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “কৃষকদের হরিয়ানায় প্রবেশের অনুমতি নেই। আম্বালা প্রশাসন বিএনএসএসের ১৬৩ ধারা জারি করেছে।” এরমধ্যে শম্ভু সীমান্তেই টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের একবার রেপো রেট অপরিবর্তিত, বাড়ছে না ইএমআই
শুক্রবার ফের চরম উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পাঞ্জাব-হরিয়ানার সীমানাগুলিতে। আন্দোলনকারী কৃষকদের (Farmers Agitation) অভিযানের জেরে। এদিকে কৃষকদের কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তৎপর রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, কোনভাবেই আন্দোলনকারীদের পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা পেরতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আজ জানিয়েছেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লির দিকে যেতে দেওয়া উচিত, নয়তো আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলা উচিত। কৃষকদের পক্ষ থেকে আলোচনার দরজা খোলা আছে। আমরা বলে আসছি যে, সরকার যদি কথা বলতে চায়, তাহলে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি বা হরিয়ানা বা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস দেখান… আমরা চাই কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দাবি মেনে নিক। তারা যেন আমাদের দিল্লিতে প্রতিবাদ করার জায়গা দেয়। হয় আমাদের দিল্লি যেতে দেওয়া উচিত নয়তো আমাদের সাথে কথা বলা উচিত।” সবমিলিয়ে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসন এবং কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের সংঘাতের আশঙ্কা।
দিল্লিতে প্রবেশের যাবতীয় সীমানা এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রয়েছে এবং নাকা চেকিং চলছে। পাশাপাশি দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু এবং টিক্রি সীমানাতেও কড়া নজরদারি চলছে। মোদি জমানায় গার্ডরেল-ব্যারিকেডের শহরে পরিণত হয়েছে ল্যুটিয়েন্স দিল্লি। ইন্ডিয়া গেট, কর্তব্যপথ, রফি মার্গের ক্রসিং, বিজয় চক, রাইসিনা হিলস, রাষ্ট্রপতি ভবন, নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লক এই চত্বরগুলিতে হেঁটেচলে বেড়ানোর অনুমতি ছিল। এখন ওই বিস্তীর্ণ অংশে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ।