সেই হার মহামেডানের

মহামেডান আছে মহামেডানেই। ফের হারের হ্যাটট্রিক। সাদা-কালো আরও বেরঙিন। আইএসএলে আত্মপ্রকাশেই ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে তারা।

Must read

প্রতিবেদন : মহামেডান আছে মহামেডানেই। ফের হারের হ্যাটট্রিক। সাদা-কালো আরও বেরঙিন। আইএসএলে আত্মপ্রকাশেই ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে তারা। বেঙ্গালুরু, জামশেদপুর এফসি-র পর এবার দিল্লিতে গিয়ে পাঞ্জাব এফসি-র কাছে ০-২ গোলে হার মহামেডানের। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঞ্জাব উঠে এল তিন নম্বরে। তাদের দুই গোলদাতা লুকা মাজসেন ও ফিলিপ মির্জলিয়াক। মহামেডানের মতো পাঞ্জাবও গতবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএলের মঞ্চে পা রেখেছিল। কিন্তু এবার শক্তিশালী দল গড়ে চমক দিচ্ছে দেশের সেরা লিগে। মহামেডান ডুবছে আই লিগের কোর গ্রুপ ধরে রেখে। গোল করার লোক নেই, আবার রক্ষা করার রসদ নেই। ফলে অন্ধকারে দল। ১০ ম্যাচের মধ্যে এই নিয়ে সপ্তম হার। ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরেই মহামেডান।

আরও পড়ুন-দিঘার জগন্নাথ মন্দির মুখ্যমন্ত্রীর প্রতীক্ষায়

ঘরে-বাইরে চাপ ক্রমশ বাড়ছে কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ ও টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। ক্লাব কর্তারা কোচকে সরানোর দাবিতে সোচ্চার হলেও লগ্নিকারীরা কঠোর হতে পারছেন না। কিন্তু কতদিন তাঁরা কোচকে আড়াল করবেন? ফুটবলারদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। এবার জানুয়ারি উইন্ডোতে দলে বড়সড় বদলের দাবি উঠল। এদিন দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে পাঞ্জাবের আক্রমণ রুখে দিতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর লুকা, ফিলিপদের ঝড় আটকাতে পারেননি মহম্মদ ইরশাদ, সামাদ আলি মল্লিকরা।
লুকাকে আটকাতে নাভিশ্বাস উঠল মহামেডান রক্ষণে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও পাঞ্জাবের সামনে বারপোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে বা একাধিক সুযোগ নষ্ট না করলে পাঞ্জাব আগেই গোল করে এগিয়ে যেতে পারত। ৫৮ মিনিটে মহামেডানের যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে যায়। লুকার অনবদ্য ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। তার আগে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন তিনি। এক্ষেত্রে কোনও ভুল করেননি। ডান পোস্টের কোণ ঘেঁষে লুকার জোরালো শট জালে জড়িয়ে যায়। পাল্টা প্রতিআক্রমণে পাঞ্জাব বক্সের ঠিক উপরে একটি ফ্রিকিক আদায় করে নিয়েছিল মহামেডান। কিন্তু তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ তারা। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পাঞ্জাব। এবার অসাধারণ গোল ফিলিপের। ম্যাচের বাকি সময়ে পাঞ্জাব আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। মহামেডানের প্রচেষ্টাও গোলশোধের জন্য যথেষ্ট ছিল না। কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরেছিলেন অ্যালেক্সিস গোমেজ, মির্জালোল কাশিমভরা। তাতেও সাদা-কালো রঙিন হয়নি।

Latest article