দেবব্রত বাগ, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকে সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীর সংযোগস্থলে সবুজদ্বীপে গড়ে উঠেছিল কোদোপাল ইকো পার্ক। প্রায় ৪০০ একর জমির মধ্যে ২০০ একর নিয়ে বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান এবং ভেষজ উদ্যান তৈরি করা হয়। সঙ্গে পর্যটকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় ৮টি কটেজ, একটা অংশে শিশু-উদ্যান। ছোটদের মনোরঞ্জনে গৌতম বুদ্ধের ছবি, ডাইনোসরের মূর্তি-সহ অনেক কিছুই বসে। পর্যটকদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা, এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং একটা সময় হাতির তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে কোদোপাল ইকো পার্কটি। পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন-আসানসোলে নাইট সার্ভিস বাস চালু করতে উদ্যোগী পুরনিগম
তবে পার্কটি একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে যায়। এবার শীতের মরশুমে দূরদূরান্তের পর্যটকেরা শাল-মহুল-পিয়ালের জঙ্গলে ঘেরা জঙ্গলমহলমুখী হতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের জেলা জঙ্গলমহল এখন পর্যটকদের সেরা বেড়ানোর ঠিকানা। সামনেই বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছর। ফলে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এবার নতুন কোদোপাল ইকো পার্কটিকে সাজিয়ে তুলতে জোরালো উদ্যোগ নিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক সুনীলকুমার আগরওয়াল জানান, ‘সাঁকরাইল ব্লকের কোদোপাল ইকো পার্কটি সাজিয়ে তোলার জন্য রাজ্যের পর্যটন দফতরকে লিখিতভাবে জানায় জেলা প্রশাসন। পর্যটন দফতর তাতে সায় দিয়ে ৯৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। খুব শিগগিরই টেন্ডার পার্কটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। কাজ শেষ হয়ে যাবে চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই।’ সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মথুর মাহাত বলেন, ‘সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণার অভাবে পার্কটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে শীতের আমেজ নিতে জঙ্গলমহলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার ১ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে পার্কটি নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য।’ ফলে পর্যটকরা সুবর্ণরেখার পাড়ে এই পার্কে ফের ঘুরতে আসতে পারবেন।’