সরকারি সাহায্য একমাত্র ভরসা বিলুপ্তপ্রায় ধিমাল জনজাতির

জনজাতিদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনমুখী প্রকল্পের সাহায্যেই বেঁচে রয়েছে লুপ্তপ্রায় ধিমাল জনজাতি।

Must read

সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায় শিলিগুড়ি: জনজাতিদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনমুখী প্রকল্পের সাহায্যেই বেঁচে রয়েছে লুপ্তপ্রায় ধিমাল জনজাতি। উত্তরবঙ্গের আদিম জনজাতির মধ্যে অন্যতম এই ধিমাল জনজাতি। প্রায় হাজার বছর আগে পাতকাই পাহাড় থেকে প্রাগজ্যোতিষপুর হয়ে ভারতে এসেছিল এই জনজাতির মানুষজন যা ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে আজও তার নিদর্শন। সারাদেশে মোট ২০০০ জন! তবে সাম্প্রতিক এক তথ্য অনুযায়ী এই জনজাতির সংখ্যা আজ মাত্র ৯৮১ জন। মাত্র ৯৮১ জন ধিমাল সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও অবধি রয়েছে।

আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলের সবুজদ্বীপে ইকো পার্ক নয়া রূপে

ক্রমাগত বিলুপ্ত হচ্ছে ধিমাল জনজাতি। রাজ্য সরকারের কাছে ধিমালদের নিয়ে পৃথক বোর্ড গঠন করার কথা জানিয়েছিল উত্তরবঙ্গে থাকা ক্ষুদ্র সম্প্রদায় ধিমাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই কথা পৌঁছে যেতেই এই ক্ষুদ্র সম্প্রদায় নিয়ে নানান প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়িতে ছোট্ট একটা গ্রাম, যে গ্রামে এখনও বসবাস করছে ধিমাল জনজাতি। মোট ৫০টি পরিবার রয়েছে এই গ্রামে। মূলত এদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ ও শিকার বলে তাঁরা জানিয়েছেন। ইতিহাস বলে, এই ধিমাল জনজাতির মানুষরা মূলত যাযাবর শ্রেণির মানুষ। ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে তাঁদের জনজীবন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত নকশালবাড়ি ব্লকের মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কেটু জোতে বসবাস করছে এই ধিমাল জনজাতি। বর্তমানে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহে তারা দিনমজুরের কাজকেই বেছে নিয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদ আগের মতোই রয়েছে। দেবতা হিসেবে তারা এখনও পর্যন্ত পুজো করে প্রকৃতিকে। পাশাপাশি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তারা করছে লড়াই। জানালেন গার্জেনকুমার মল্লিক। আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল এই জনজাতির পাশে রয়েছে একামাত্র রাজ্য সরকার। বিশেষত উত্তরবঙ্গের ও নেপালের তরাই অঞ্চলে এই ধিমাল জনজাতি বসবাস করছে। দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি ও হাতিঘিসা অঞ্চলের ১৬টি গ্রামে এঁদের বাস। ধিমালদের ভাষা, মুখাবয়ব ও দেহের আকৃতি দেখে এঁদের লিম্বু জনজাতির একটি ঘনিষ্ঠ শাখা বলে মনে করা হয়। ধিমাল জনজাতির গার্জেন কুমার বললেন, বাম জমানায় খুবই দুর্দশা গিয়েছে। কেউ ফিরেও তাকায়নি। মানবদরদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কথা ভেবেছেন। তাঁর প্রকল্পের সুবিধায় বেঁচে রয়েছি আমরা। আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়াও শিখছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।

Latest article