প্রতিবেদন : ডিভিসি, রেল-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার অসহযোগিতার কারণে রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ পরিবার বা ৫০ লক্ষ মানুষ জলজীবন মিশন প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে ওই সব সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তিনি নির্দেশ দেন। তার পরেই রেল, ডিভিসি, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, আইওসিএল-সহ কয়েকটি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বৈঠকে বসে নবান্ন। সোমবার সকাল ১১টা থেকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নবান্নে ওইসব কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে নিয়ে বৈঠক করেন। নবান্ন সূত্রে খবর, শুক্রবার বৈঠকে মুখ্যসচিব বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে অনুরোধ করেছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান করার জন্য। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তরফেও দ্রুত সমাধানের আশ্বাস মিলেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-অভিষেক বললেন, অপরাজিতা বিল হোক দেশ জুড়ে
গত সোমবার বিধানসভা থেকে সংশ্লিষ্ট দফতর ও জেলাশাসকদের সঙ্গে জলপ্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটের প্রচারে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে, অথচ কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরের জন্য রাজ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এরমধ্যে রেলওয়ের জন্য ১ লক্ষ ৩৪ হাজার পরিবার জল পাচ্ছে না। এনএইচ-এর জন্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার পরিবার জল পাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ডিভিসিকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিভিসি শুধু বন্যার জল ছাড়তে জানে, খাবার জল দেয় না। ওদের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ পরিবার পানীয় জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিকে জল চুরি রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। যেসব ঠিকাদার সংস্থা ঠিকমতো কাজ করছে না তাদের কালো তালিকাভুক্ত করারও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে কাজে গাফিলতির অভিযোগে একাধিক ঠিকাদার, একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে সোমবার জলপ্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সোমবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এই প্রকল্প নিয়ে ফের বৈঠকে বসবেন তিনি। গতবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অসহযোগিতার বিষয়টি উঠেছিল। সেটা কতটা সমাধানের পথে এগোল শুক্রবারের বৈঠকের পর সোমবার বিধানসভার বৈঠকে সেই রিপোর্ট পেশ করা হবে।