প্রতিবেদন : বাংলাদেশের অশান্তিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন দেশের সংখ্যালঘু মানুষ, কিন্তু এই সবকিছু নিয়ে রহস্যজনকভাবে চুপ রয়েছে ভারত সরকার। তাই এবার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার বিষয়ে দাবি তুলল নগেন্দ্র মঠ ও মিশন এবং বাংলা সিটিজেনস ফোরাম। রবিবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করে পথে নামেন এই দুই সংগঠনের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে তাঁর মারফত কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবি জানানোর কথা বলেছেন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে যে অস্থির পরিস্থিতি চলছে সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিক এবং দ্রুত ব্যবস্থা করুক। রাজভবনের তরফে সোমবার সাড়ে বারোটায় সময় দেওয়া হয়েছে। নগেন্দ্র মঠ ও মিশন এবং বাংলা সিটিজেনস ফোরামের দাবি, মণিপুরের সময় যেভাবে চুপ করে থেকেছে কেন্দ্র সরকার, বাংলাদেশের ঘটনাতেও সেভাবেই নীরবতা বজায় রাখা হচ্ছে। সুকিয়া স্ট্রিটের মিছিল থেকে দুই সংগঠন দাবি করে বলে, বাংলাদেশে অশান্তি হলে তার প্রভাব সব থেকে বেশি পড়বে বাংলায়। কারণ বাংলাই বাংলাদেশের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেয়। রাজ্য সরকার যেখানে সবরকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন নগেন্দ্র মঠ ও মিশনের সহসভাপতি কুণাল ঘোষ, আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী, সমাজসেবী মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়, শক্তিপ্রতাপ সিং, যুবনেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল এবং মিশনের প্রবীণ সন্ন্যাসীরা। এছাড়াও মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিভিন্ন ক্লাবের সদস্য থেকে বিভিন্ন বর্গের মানুষ। এদিন কীর্তন করে রাস্তা পরিক্রমা করা হয়। সমাজসেবক আসফাক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের এই ইস্যু বন্ধ করতে হবে। এতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দরকার। রাজ্যের কিছু করার নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। সব দেশেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সেটার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রের উপর। তাই এক্ষেত্রেও কেন্দ্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের নিশ্চুপ থাকা রহস্যজনক। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তাঁর বার্তা, এই বিষয়টিকে সামনে রেখে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু আপনারা প্ররোচনায় পা দেবেন না। তাঁর স্পষ্ট কথা, বাংলাদেশের মানুষরা শত্রু নয়। যারা এই অশান্তি করছে তাদের বিরোধিতা করছি।
আরও পড়ুন: সোমবার বৈঠক, চলছে একই ধাঁচে বাংলাদেশি বালখিল্যতা