প্রতিবেদন: আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের। আলাদিন আজারেইদের রুখে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফের লিগ টেবলের শীর্ষে উঠে এল জোসে মোলিনার দল। মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসোর গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে সবুজ-মেরুন। ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট মোহনবাগানের। বেঙ্গালুরু এফসি সমসংখ্যক পয়েন্টে থাকলেও গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে।
শুভাশিস, আলবার্তো না থাকায় মোহনবাগান রক্ষণের এদিন পরীক্ষা ছিল। তাতে ফুলমার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ টম অলড্রেড, দীপেন্দু বিশ্বাস, আশিস রাইরা। রাইট ব্যাকে আশিস কার্যত বোতলবন্দি করে রাখেন আলাদিনকে। অলড্রেড রক্ষণে যেন চিনের প্রাচীর। একদিকে রক্ষণ আগলালেন আবার উপরে উঠে আক্রমণে সাহায্য করলেন। লিস্টন, মনবীরের যুগলবন্দির পাশে মাঝমাঠ শাসন করলেন সাহাল আব্দুল সামাদ, আপুইয়াও। আক্রমণে নর্থইস্ট রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ালেন দিমিত্রি পেত্রাতোসও। নিশ্চিত গোল বাঁচালেন গোলকিপার বিশাল কাইথ।
আরও পড়ুন-শুরুতে রোহিতকে চাইছেন শাস্ত্রী
আইএসএলে প্রথম পর্বে মোহনবাগানের কাছে হারের বদলা নিতে ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবলের রণনীতি নিয়েছিলেন নর্থইস্ট কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালি। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতোই পাল্টা আক্রমণে নর্থইস্ট রক্ষণে চাপ বাড়ায় মোহনবাগান। লিস্টন, মনবীর, দিমিত্রিদের আক্রমণের ঢেউ কোনওরকমে সামাল দেয় নর্থইস্ট রক্ষণ। খেলার ৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু লিস্টনের ডান পায়ের দুরন্ত শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। পাল্টা প্রতিআক্রমণে ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত একটি সুযোগ পায় নর্থইস্ট। কিন্তু বাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান গোলকিপার বিশাল কাইথ। আলাদিনের অনবদ্য ক্রস বক্সে পেয়ে গোলে শট নিয়েছিলেন নেস্টর আলবিয়াখ। কিন্তু ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্তভাবে তা বাঁচিয়ে দেন বিশাল। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা হলেও প্রথমার্ধে মোহনবাগানের দাপটই ছিল বেশি। বিরতির ঠিক আগে দিমিত্রির দূরপাল্লার শট অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন নর্থইস্ট গোলকিপার গুরমিত সিং। প্রথমার্ধে দু’দলের রক্ষণ আঁটসাঁট থাকায় গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে ধরা দেয় মোহনবাগান। ৬৪ মিনিটে বাজিমাত মনবীরের। ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে উঠে শট নেন গোল লক্ষ্য করে। গুরমিতকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। মিনিট সাতেক পর ফের গোল মোহনবাগানের। ডিফেন্ডারদের পায়ের জাল কাটিয়ে অসাধারণ গোল করে জয় নিশ্চিত করেন লিস্টন। শেষদিকে গ্রেগ স্টুয়ার্ট, জেসন কামিন্সরা নামলেও গোলের ব্যবধান বাড়েনি।