প্রতিবেদন : জলের অপচয় ঠেকাতে ঠিকাদার সংস্থাকে ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জল অপচয় নিয়ে এদিন ফের একবার কড়া মনোভাব দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। পিএইচই দাবি করেছে ৯০ শতাংশ বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। এই নিয়েই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) পরামর্শ, ৯০ লক্ষ লোক কি সত্যি জল পাচ্ছে? এবার অন্য সংস্থাকে দিয়ে সার্ভে করান। পুলিশি নজরদারিতে এই সার্ভে হবে। সোমবার এ-ব্যাপারে পূর্ত দফতরকে নিয়ে বৈঠকে ফের উষ্মা প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাজে গাফিলতির অভিযোগে ৩৭৩টি সংস্থাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একই কারণে ১১২টি সংস্থার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ২৩ জন আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। রেল, ন্যাশানাল অথরিটি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা অসহযোগিতা করছিল। এ-ব্যাপারে ৬ ডিসেম্বর মুখ্যসচিব বৈঠক করেছেন। আশা করছি এবার তাদের সহযোগিতা পাব। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই নিয়ে ১১,২০০টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ১১ হাজার অভিযোগের নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। কাজে বাধা দানের অভিযোগে ৫০০টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিছু লোক জলের পাইপ বসাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে পূর্ত দফতর। সেই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে বাধা আসছে সেখানে মানুষকে বোঝান। পাইপের লাইন তো জমির তলা দিয়ে যাবে, তার জন্য ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। এটা মানুষকে বোঝাতে হবে। স্পষ্ট করে বোঝাতে হবে, এটা এলাকার মানুষের স্বার্থেই করা হচ্ছে। কেউ পাইপ লাইন বসানোর জন্য টাকাও নেবেন আবার ডিস্টার্ব করবেন, সেটা হবে না।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের হয়ে ফের কাজ করবেন প্রবীর! জানালেন দলনেত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, অনেক কন্ট্রাক্টার কাজের বরাত নিয়ে বসে রয়েছেন কিন্তু কাজ করছেন না। এখন থেকে আর কাউকে অ্যাডভান্স টাকা দেওয়া হবে না। আগে কাজ শেষ করার রিপোর্ট দেবে তারপর সরকার টাকা দেবে। এছাড়াও যে সমস্ত ঠিকাদার ঠিক মতো কাজ করছে না তাদের ব্ল্যাক লিস্টেড করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কেউ যদি টাকা খেয়ে গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি পাস করানোর চেষ্টা করে তাহলে তার বেতন থেকে সেই টাকা কাটা যাবে। রাজনৈতিক নেতা বা আধিকারিক পদ নির্বিশেষে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কাজে গতি আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী লোকবল বাড়ানোর কথা বলেছেন। সেক্ষেত্রে কর্মসূচি পোর্টালে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ডেটা আপডেট করা রয়েছে তাঁদের এই জলস্বপ্নে কাজে লাগানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ৫৪ হাজার শ্রমিককে জলস্বপ্নে কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানান তিনি।