অসন্তোষ স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

Must read

প্রতিবেদন : গত অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা শিকেয় উঠেছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনে উত্তপ্ত গোটা দেশ। মৌলবাদীদের প্ররোচনায় ভারতের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে ইউনুস প্রশাসন। সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতা তথা বাংলা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তারা। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পরিস্থিতিরও যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন দুই দেশের বিদেশ সচিব। সোমবার সকালেই বৈঠকে যোগ দিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকা পৌঁছন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি (Vikram Misri)। ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বিদেশ মন্ত্রকের মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান। তারপর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সরকারি অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরানো একাধিক সমস্যার কথা বৈঠকে উঠেছে। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার নিয়েও। এর পাশাপাশি ভারতে বাংলাদেশ মিশনের নিরাপত্তা, সীমান্ত সংঘাত, অভিন্ন নদীর জলবণ্টন, নিত্যপণ্য আমদানি ও ভিসা ইস্যু-সহ একাধিক বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশের বর্তমান অশান্তি নিয়ন্ত্রণে ঢাকার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে নয়াদিল্লি, প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও নয়া অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হল। ভারত আগের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। দুই দেশ যাতে সমান সুযোগ-সুবিধা পায়। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এছাড়াও সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক পরিকাঠামোয় হামলা দুঃখজনক বলে জানিয়েছি। এদিন বিকেলে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছেন ভারতের বিদেশ সচিব।

আরও পড়ুন- ভোটে হেরে হিংসা বিজেপির, নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী

Latest article