আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: বাম জামানায় তৈরি হলেও সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধুকছিল বহু ইতিহাসের সাক্ষী ধূপগুড়ির মানুষের আবেগের জায়গা এই বাংলো। সাক্ষী হয়ে রয়েছে বহু নামিদামি শিল্পীদের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে একমাত্র সরকারি আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত এই জায়গা। ধূপগুড়ির সাধারণ মানুষ সেভাবে দাবি না তুললেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বুঝতে পেরেছিল এই জায়গার গুরুত্ব তাইতো প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে এই বাংলো সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। ধূপগুড়ি ডাকবাংলা কে ঘিরেই এই জায়গায় গড়ে উঠেছে বাজার, এখন এক নামে যা ধূপগুড়ির ডাকবাংলো বাজার হিসেবেই পরিচিত। এই বাংলোই একমাত্র সাক্ষী রয়েছে বাম জমানার পর কতটা উন্নয়ন করেছে তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতা দখলের পর। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অধীনে থাকা এই বাংলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে প্রায় ভগ্ন প্রায় দশায় পৌঁছেছিল।
আরও পড়ুন-আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হল উত্তরে
পরিস্থিতির কথা চিন্তাভাবনা করে বাংলো সংস্কারে জন্য উদ্যোগ নেয় তৃণমূল সরকারের প্রশাসন। সংস্কারের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রেরণায় মহুয়া গোপের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্যরা বাংলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সংস্কারের। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য তথা দীর্ঘদিনের ধূপগুড়ি ব্লকের বাসিন্দা মমতা বৈদ্য সরকার বলেন, ধূপগুড়ির বাসিন্দা হিসেবে আপ্লুত। এই ভেবেছে যে আমাদের সবার ডাকবাংলো সংস্কার হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ডঃ কৃষ্ণ দেব বলেন, ধূপগুড়ি ডাকবাংলো ধূপগুড়ির মানুষের আবেগের জায়গা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পরিচালনায় এই কাজের ফলে বর্তমান রাজ্য সরকার মন জয় করে নিয়েছে ধূপগুড়িবাসির। আগে যেমন বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন ধূপগুড়ি বিধানসভার তৃণমূলের প্রার্থী প্রফেসর নির্মল চন্দ্র রায় কে একইভাবে সেই জায়গা আরও শক্ত হলো বলেই মনে করছি।