হাতির সমস্যা বাসস্থান

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : আবারও লোকালয়ে ঢুকে পড়ল দলছুট হাতি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ১০টি বাড়ি। একটি দোকানও ভেঙে ফেলে হাতিটি। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ একটি দলছুট হাতি রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রথমে বিন্নাগুড়ি চা বাগানের স্কুললাইনে ঢোকে। তাণ্ডব চালিয়ে চারটি বাড়ি তছনছ করে। লোকালয় থেকে বের করার জন্য চা বাগানের একটি ট্রাক্টর হাতির পিছনে ধাওয়া করে। রাত একটা নাগাদ বিন্নাগুড়ি ৩১সি জাতীয় সড়ক পার হয়ে হাতিটি মরাঘাট জঙ্গলে ফেরে।

 

উত্তর থেকে দক্ষিণে বারবারই হাতির তাণ্ডব উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। দাঁতালদের তাণ্ডবে কোথাও ঘটছে মৃত্যু, কোথাও তছনছ বাড়িঘর, আবার কোথাও লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে চাষের জমি। বন্ধুত্ব বদলে গিয়েছে আতঙ্কে।
কিন্তু কেন ঘটছে এমন? সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল বাসস্থান সংকট। বিশেষ করে শীতের মরশুমে এই সংঘাত বেড়ে যায় বহুগুণ।

আরও পড়ুন : বিধায়কের হাজার অনুরাগী তৃণমূলে

সমগ্র ডুয়ার্স জুড়ে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হাতি-মানুষ সংঘর্ষের খবর মেলে। হাতির দাপটে ফসল ঘরে তোলাই দায় হয়ে পড়ে মানুষের। যদিও এই সংঘর্ষের জন্য মানুষকেই একপ্রকার দায়ী করেছেন হস্তী বিশেষজ্ঞ থেকে বন আধিকারিক প্রায় সকলেই। এই সংঘর্ষের বেশ কয়েকটি কারণ উঠে এসেছে তাদের পর্যবেক্ষণে ।

প্রথমত, আগে বনবস্তি  বাদে জঙ্গলের ধার ঘেঁষে জনপদের সংখ্যা তেমন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে  মানুষ একেবারে বনের ধারে বসতি স্থাপন করে বসবাস শুরু করেছে, যা প্রভাব ফেলেছে হাতির বাসস্থানের ওপর। দ্বিতীয়ত, বসতি স্থাপনের পাশাপাশি  বেশ কিছু বছর ধরে বনের ধারের উর্বর জমিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ। এবং সেই ফসলের লোভে হাতি বেরিয়ে আসছে বনের বাইরে চাষের জমিতে। তখন ফসল বাঁচাতে মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে হাতিদের সঙ্গে। কীভাবে এই সমস্যা মিটবে এখন এই নিয়েই চলছে গবেষণা।

Latest article