গতবছর পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই ছড়িয়ে পড়ত প্রশ্নপত্র। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলি দেখা যেত। এবার সেসব অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতেই কড়া পদক্ষেপ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। এবার সরাসরি পরীক্ষার হলেই প্রশ্নপত্র খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আগেই বিভিন্ন জেলার জয়েন্ট কনভেনরদের বদল করেছিল সংসদ। এ বছরই প্রথম সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। এতদিন প্রশ্নপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল সর্টিং বা বাছাই। প্রয়োজন অনুযায়ী সেটা কাস্টডিয়ানের (থানা) কাছ থেকে পৌঁছত পরীক্ষাকেন্দ্রে সেন্টার ইনচার্জের ঘরে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে তা হলে পৌঁছে দেওয়া হতো। এই সময়ের মধ্যেও ঘটতে পারত অনেক ঘটনা। তাই চলতি বছর আর থাকছে না বাছাই প্রক্রিয়া। প্রশ্নপত্র এমনভাবে প্যাকেট হচ্ছে যাতে, পরীক্ষার হলে পড়ুয়াদের সামনে তা খোলা যায়।
আরও পড়ুন- আরও বাড়বে ঠান্ডা! ৮ জেলায় কুয়াশার দাপট
এ বিষয়ে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্যাকেট খোলার পরে ২০ এবং ১০টি করে প্রশ্নপত্রের একেকটি প্যাকেট থাকবে। হলের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সেই প্যাকেটগুলি ঘরে নিয়ে গিয়ে খুলবেন পরীক্ষা পরিদর্শক। কোনওভাবেই খোলা প্রশ্নপত্র এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাবে না।
এদিকে, মাধ্যমিকের টেস্ট শেষ হওয়ার ৮ দিন পরেই সোমবার প্রকাশিত হল টেস্ট পেপার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, টেস্ট না-হলে তো আর টেস্ট পেপার তৈরি করা যায় না। মনে করা হচ্ছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকেই টেস্ট পেপার হাতে পাবে ছাত্রছাত্রীরা। তবে পর্ষদ সরকারিভাবে এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি।