অনুরাধা রায়: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টানা দেড় বছর ধরে চলবে শ্রমিক আন্দোলন। জানিয়ে দিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরের শুরুতেই সূচনা হবে আন্দোলনের। চা-বাগান দিয়ে শুরু হয়ে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়বে রাজ্যজুড়ে। শামিল হবেন চটকল শ্রমিকরাও। ঋতব্রত জানিয়েছেন, আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত তৃণমূল চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন একটি বড় কর্মসূচি নিচ্ছে। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির ৪৮৩টি বুথে ৬টি বিধানসভায় চলবে টানা মিটিং। অর্থাৎ কুমারগ্রাম, কানচিনি, মাদারিহাট, ফালাকাটা, নাগরাকাটা এবং মালবাজারে হবে প্রথম কর্মসূচি। ১৫ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের পিএফ অফিস ঘেরাও করা হবে। ১৬ তারিখ ঘেরাও করা হবে জলপাইগুড়ির রিজিওনাল পিএফ অফিস। এরপরের কর্মসূচি শিলিগুড়ি অর্থাৎ দার্জিলিং সমতলে। এখানে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৭৮টি চা-বাগানের বুথ রয়েছে। এইগুলির ক্ষেত্রে লাইন মিটিং হবে ১৮, ১৯, ২০ জানুয়ারি। এরপর ২১ জানুয়ারি প্রধাননগর পিএফ অফিস ঘেরাও করা হবে। অর্থাৎ ২০২৬-এর বিধানসভার জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন। বুথ ধরে এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যেকটি ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। মিটিং এবং ঘেরাওয়ে ঋতব্রত থাকবেন। ঋতব্রত এক্ষেত্রে বলেন, কুমারগ্রাম, কালচিনি, মাদারিহাট, ফালাকাটা, নাগরাকাটা, মালবাজার, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদাওয়া-খড়িবাড়ি চা-বাগান কেন্দ্রিক এই আটটি আসনই যেন সবুজ হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই লাগাতার কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচি একেবারে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট পর্যন্ত চলবে। আলিপুরদুয়ার- জলপাইগুড়ির ৪৮৩টি বুথে ২০১৯-এর লোকসভায় তৃণমূল জিতেছিল ১৫টি আসনে। ২০২৪-এ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৪। মাদারিহাট উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল আরও ভাল হয়েছে। বিজেপির ৫৫ কমে হয়েছে ১৯। তৃণমূল কংগ্রেসের ৪৫ বেড়ে হয়েছে ৮১। ১৪ হাজার ৭৩৩ ভোট লিড পেয়েছে তৃণমূল। এরপরই বুথগুলির শ্রেণিবিভাগ করা হয়। বেশি মার্জিন, মাঝারি এবং হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এইভাবেই বুথগুলি ভাগ করে নিখুঁত রূপরেখা তৈরি করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যে ৩৯টি বায়ো-ডাইভার্সিটি পার্ক
কর্মসূচির তালিকা
৩ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির ৪৮৩টি বুথে ৬টি বিধানসভায় চলবে টানা মিটিং।
১৬ তারিখ ঘেরাও করা হবে জলপাইগুড়ির রিজিওনাল পিএফ অফিস।
শিলিগুড়িতে ১৮, ১৯, ২০ তারিখ মিটিং।
২১ জানুয়ারি প্রধাননগর পিএফ অফিস ঘেরাও করা হবে।