প্রতিবেদন : আগামী বছরের শুরুতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মূল পর্বের কাজ শুরু হয়ে যাবে। বুধবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য অরূপ ধাড়ার প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হবে। এর সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সমীক্ষার কাজ, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজও শেষ।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূলকর্মী বিষ্ণুপদর স্মরণসভা
মানসবাবু জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ১২৩৮ কোটি টাকা খরচ হবে। ইতিমধ্যে এ-বিষয়ে বিভিন্ন কাজে ৩৪১ কোটি ৫৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছে রাজ্য। তিনি বলেন দুই মেদিনীপুর, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে নিত্য যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ-ব্যাপারে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গও বিধানসভায় তুলে ধরেন সেচ ও জলপথ বিভাগের মন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার চিঠি দেওয়া, প্রতিনিধি পাঠানো সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সাল থেকে একটা পয়সাও দেয়নি। তাই ঘাটাল মাস্টার প্লান রাজ্য তার নিজের অর্থ দিয়ে করবে। এ-প্রসঙ্গে অশোক লাহিড়ীর প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে নদী ভাঙন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে ৭৬টা নদী আছে। যাদের উৎস ভুটানে। অথচ ইন্দো-বাংলাদেশ, ইন্দো-নেপাল যৌথ নদী কমিশন থাকলেও ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। অন্যদিকে, গঙ্গা-পদ্মা-সহ একাধিক নদীর ভাঙনে দক্ষিণবঙ্গ ক্ষয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে। পরে বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের সেচমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী তা পারবেন না। তাই উত্তরবঙ্গে গঙ্গাভাঙন রুখতে ভাঙনপ্রবণ ভূতনি, দিয়ারা, রতুয়া এক এবং দু’নম্বর ব্লক, অন্যদিকে ভাঙনপ্রবণ সুন্দরবনকে রক্ষা করতে দুটি বড়সড় পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।