প্রতিবেদন: বিজেপির ওড়িশায় (Odisha) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তার প্রমাণ মিলল আবার। হাড়হিম করা ঘটনা। ধর্ষণে অভিযুক্ত কুনু কিষাণ নামে এক ব্যক্তি জামিনে ছাড়া পেয়েই নির্যাতিতার গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। ঠান্ডা মাথায় এক বছর ধরে খুনের পরিকল্পনা করার পর নির্যাতিতার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ব্রাহ্মণী নদীর জলে ফেলে দেওয়ার মতন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছেন এই অভিযুক্ত। এরপরই খুনের অভিযোগে ধর্ষককে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসে বাংলা দেশে এক নম্বর
কুনু কিষাণ গত বছর আগস্ট মাসে ওড়িশার (Odisha) সুন্দরগড় জেলায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। দুজনেই পূর্ব পরিচিত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। নির্যাতিতার পরিবার ধারুয়াডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে কুনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেল হেফাজতে থাকাকালীন গত ডিসেম্বরে জামিনে বাইরে আসার অভিযুক্ত। এরপর এক বছর ধরে চলে খুনের পরিকল্পনা। নির্যাতিতা এ সময় তাঁর আত্মীয়র বাড়িতে থাকছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযুক্ত। এরপর হঠাৎ একদিন নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়।তদন্তে নেমে ঝাড়সুগুদা থানার পুলিশ এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখে। ফুটেজে অভিযুক্তের সঙ্গে বাইকে শেষবার দেখা যায় নির্যাতিতাকে। সঙ্গে ছিলেন আরও এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, মাথায় হেলমেট থাকায় তাঁদের প্রাথমিকভাবে চেনা যায়নি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে শনাক্ত করা হয়। এরপর অভিযুক্ত কুনুকে গ্রেফতার করলে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন। অভিযুক্তের বয়ান অনুসারে, ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সাহায্য নিয়ে ব্রাহ্মণী নদীর নির্দিষ্ট অংশে তল্লাশি চালিয়ে মৃতার দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।