প্রতিবেদন : রাজ্যের পুর এলাকার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও অনলাইনে সম্পত্তির কর নির্ধারণ ও পরিশোধ করা যাবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে নবান্নে সূত্রে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতগুলির কর নির্ধারণ প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে ত্রুটিবিচ্যুতি দূর করতে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনলাইনে কর চালুর বিষয়টি জানিয়ে প্রত্যেক পঞ্চায়েতকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে পঞ্চায়েত দফতর নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা আনতে গ্রামে গ্রামে প্রচার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শাশুড়িদের বউমারা
এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতকে তাদের এলাকার বাসিন্দাদের সম্পত্তি কর কত হতে পারে, সেই বিষয়ে কিছু তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। এর জন্য প্রত্যেকটি পরিবারকে একটি করে ফর্ম পূরণ করে পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে সেই ফর্মে লিখতে হয়েছে তাঁর কী ধরনের বাড়ি, কতগুলো ঘর, ওই সম্পত্তির বর্তমান বাজার দর কত হতে পারে ইত্যাদি। এর ভিত্তিতেই পরিবার-পিছু কর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ-যাবৎ দেড় কোটির বেশি বাড়ির তথ্য আপলোড হয়েছে এই পোর্টালে।
আরও পড়ুন-এলাকার সমস্যা, পুরমন্ত্রীর দরজায় বিজেপি বিধায়ক
পঞ্চায়েত দফতর অঞ্চলের বাসিন্দাদের সম্পত্তির কর সঠিকভাবে আদায় করতে সক্ষম হয়নি দীর্ঘদিন এমন রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এই সিদ্ধান্ত। এ-বিষয়ে কীভাবে বকেয়া-সহ কর আদায় করা যায় তা নিয়ে দফতরের আধিকারিক-সহ মন্ত্রী দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন নিজস্ব দফতর-সহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে। শেষমেশ ঠিক হয় যে অনলাইনের মাধ্যমে যেভাবে শহর কলকাতার মানুষ তাঁর নিজের কর জমা করেন ঠিক সেই ভাবেই এবার থেকে নিজেদের সম্পত্তি কর জমা করতে পারবেন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও। স্বভাবতই পঞ্চায়েত দফতর ও রেভিনিউ আদায় নিয়ে প্রশাসনিক ভবন নবান্নর আধিকারিকরা আশায় রয়েছেন দেরি হলেও এবার সঠিক ভাবে কর নির্ণয় ও আদায় করতে সক্ষম হবে পঞ্চায়েত দফতর। ভরবে সরকারি কোষাগার।
বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বড় অঙ্কের কর বকেয়া রয়েছে। যাদের পুরনো হিসেবে কর বাকি আছে সেই বকেয়া কর এখনই তাদের মিটিয়ে দিতে হবে এমনই নির্দেশ নবান্নের থেকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই দুই থেকে পাঁচ বছরের কর মেটাননি। সেই টাকা আদায় করতে বিভিন্ন জায়গায় শিবিরও করা হয়েছে ও তাতে বেশ সাড়াও মিলেছে। এখন দেখার বিষয়, শহরের পর পঞ্চায়েতে অনলাইন কর ব্যবস্থা শুরু হলে রাজ্য সরকারের কোষাগার কতটা ভরে।