সিআইডি-পুলিশ-সিবিআই খারাপ, আদালতকেও অবিশ্বাস: বিচারের নামে ধান্দাবাজরা আবার নেমে পড়ল ময়দানে

Must read

প্রতিবেদন : আবার নাটক! ব্যক্তিস্বার্থে, শুধুমাত্র নিজেদের ধান্দায় বিদ্রোহীরা ময়দানে নামতে চলেছে। আরজি করের খুন-ধর্ষণের মামলায় তাদের নাকি বিচার চাই। বিচারের নামে ফের একবার শহরকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা। জুনিয়র-সিনিয়র ডাক্তাররা আবার নতুন কর্মসূচি নিয়ে নামছে সিজিও কমপ্লেক্সে। তা নিয়েই আটটি প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ঠিক যেভাবে আরজি করের ঘটনার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদেরকে চিকিৎসকদের আড়ালে লুকিয়ে কলকাঠি নেড়েছিল শহরকে অস্থির করার জন্য, আরও একবার সেরকমই নাটক মঞ্চস্থ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন- জয়নগরে ৬২ দিন, ফরাক্কায় ৬১ দিনে চরম শাস্তি আদালতের: বিচার পেয়ে গ্রামে পুলিশকে সংবর্ধনা

শনিবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দেয় চিকিৎসক সংগঠন ডব্লিউবিজেডিএফ। তার পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন। আট প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের পুলিশ, সিবিআই, আদালত— কারও প্রতি কোনও আস্থা নেই। আসলে ওরা নাটক করতে নামছে ব্যক্তিস্বার্থ পূরণ করার জন্য। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, অভয়ার দ্রুত ন্যায়বিচার তো চলছে শিয়ালদহ কোর্টে। রোজ সাক্ষ্য হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট মনিটর করে সন্তুষ্ট। তাহলে আবার বিচারের দাবিতে মিছিল কীসের? দুই, সিবিআইয়ের অপদার্থতার প্রতিবাদ এখানে কেন? সুপ্রিম কোর্টে তো সবার আইনজীবী ছিলেন। যা বলার, সব ওখানে বলেছেন। তারপরেও সুপ্রিম কোর্ট কোনও অসঙ্গতি দেখেননি। তাহলে ওই কোর্টে আপনাদের আইনজীবীরা কী করছিলেন? তিন, অভয়ার নামে বিপুল টাকা তুলেছেন। সেটার দখল রাখতেই কি এই মিছিল-মিটিং চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা? চার, এই জুনিয়র ডক্টর্স ফেডারেশনের কয়েকজনই অভয়ার ময়নাতদন্তে সই করে ঠিকঠাক বলে মান্যতা দিয়ে এসেছিল। সেটা গোপন করে নাটক করছে কেন? পাঁচ, অভয়ার আবেগ ভাঙিয়ে প্রচার, বিজ্ঞাপন, পুরস্কার, রাজনীতি, রোজ ক্যামেরার আলোর ঝলক, নেশা হয়ে গিয়েছে বলেই কি আবার কুযুক্তির লাফালাফি? ছয়, আপনার ফেসবুক পোস্ট, রাতজাগা, মোমবাতিই কি তথ্য প্রমাণ? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে আদালতগ্রাহ্য সাক্ষ্য বা তথ্য প্রমাণ থাকলে সুপ্রিম কোর্টে বলেনি কেন এরা? এখানে কেন নাটক? সাত, পুলিশ খারাপ, সিবিআই খারাপ, শিয়ালদহ কোর্টে নাকি বিচার চলছে না, সুপ্রিম কোর্টে আস্থা নেই— এরা ভেবেছে কী? আর শেষ প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির সময় কোন্নগরের যুবকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু আর আপনারা প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ দিয়ে নিজেরা লাভ করেছেন, সরকারের কয়েক কোটি টাকা বেসরকারিতে পাঠিয়েছেন, তার কৈফিয়ত কে দেবে?
এই আট প্রশ্ন তুলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে গিয়েছে, এরা নাটক করছে। ব্যক্তিস্বার্থে এবং নিজেদের ধান্দায়। তারপর তিনি লিখেছেন, এরপরেও অতিরিক্ত চার্জশিট হতে পারে। কিন্তু এখন দিলে সঞ্জয়ের বিচার বিঘ্নিত হবে। সিবিআই তা চায় না। সমস্যা হল, ধান্ধাবাজ বিপ্লবীরা সব বোঝেন!

Latest article