প্রতিবেদন: মোদির এক দেশ এক ভোট নীতি যে আসলে একটা মস্ত ভাওতা এবং স্ববিরোধী, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর অভিযোগ, এটা আসলে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। কেন্দ্রের ব্যর্থতা ঢাকা দেওয়ার অপচেষ্টা। ডেরেক মনে করেন, এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন কতোটা সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কী না তা মোটেই স্পষ্ট নয়। এব্যাপারে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশ, সংবিধান, বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আইনের অন্তত ১৮টি সংশোধন জরুরি। এক দেশ এক ভোট কার্যকর করতে হলে সংসদে সংবিধান সংশোধন বিলও পাশ করাতে হবে।
আরও পড়ুন-রাস্তা নিয়ে টক টু মেয়র-এ অভিযোগ পেয়ে কড়া বার্তা
পঞ্চায়েত এবং পুরসভা গুলির একই সঙ্গে নির্বাচন করাতে হলে ৩২৪ (এ) ধারারও সংশোধন জরুরি। অভিন্ন ভোটার তালিকার জন্য দরকার ৩২৫ ধারা সংশোধন। শুধু তাই নয় এই সংশোধন ও কার্যকর করতে হলে দেশের অন্তত ৫০% রাজ্যের সম্মতি জরুরি। ডেরেক মনে করিয়ে দেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছিলেন, এক দেশ এক ভোট আইন চালু করার আগে কতগুলি রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ কাঁটছাট করতে হবে। অথবা মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে। লোকসভা কিংবা কোন রাজ্যের বিধানসভা ৫ বছর মেয়াদ শেষ করার আগেই যদি ভেঙে দেওয়া তাহলে কী হবে?