প্রতিবেদন: শেখ হাসিনার প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে রসাতলে পাঠাতে চাইছেন মহম্মদ ইউনুস। স্থায়ী উপদেষ্টার পদে বসা এই ক্ষমতালোভী ব্যক্তি এখন দেশে নির্বাচন করতে দিতে চান না। তার বদলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে মুছে দিয়ে পাকিস্তানের হাতের পুতুল করতে চান বাংলাদেশকে। এই কারণেই জামাত ও নানা মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে আইন হাতে তুলে যথেচ্ছাচার করতে দেখেও নিষ্ক্রিয় ইউনুস প্রশাসন। অনেকেই মনে করছেন, দ্রুত জঙ্গিদের কবলে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশের সাফল্যের উল্লেখ করে সিবিআইয়ের সমালোচনায় শোভনদেব
প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের পথেঘাটে দাপাদাপি চলছে। সেই ছবি পোস্ট করেছেন নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ইউনুস সরকারের ভূমিকা নিয়ে। তসলিমার অভিযোগ, চোখে পর্দা দিয়ে রেখেছে ইউনুস সরকার। তার প্রমাণও তুলে ধরেছেন লেখিকা। বাংলাদেশের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাদাগিরি করতে দেখা যাচ্ছে মৌলবাদীদের। প্রশ্ন উঠছস, কোথা থেকে এল এই অস্ত্র? ধর্মীয় সভায় প্রকাশ্যে অস্ত্র-প্রদর্শন কেন? বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন একটি ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশি জিহাদিরা এখন মারণাস্ত্র হাতে নিয়েই তাদের মিছিল মিটিংয়ে যাচ্ছে। ইউনুস-আসিফ গ্যাং কি জিহাদিদের নিরস্ত্রীকরণের কথা একবারও ভাববে? মনে হয় না।” জানা গিয়েছে, ছবিটি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের। সম্প্রতি সেখানে এসেছিলেন এক প্রভাবশালী ধর্মগুরু। সেই অনুষ্ঠানেই একজনের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা যায়। এমন স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক অস্ত্র সাধারণত জঙ্গিদের হাতে থাকে। সেই অস্ত্র কীভাবে সাধারণ মানুষের আমজনতার হাতে? ছবি সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ধর্মগুরু নিজেকে রসুলের বংশধর বলে দাবি করেন। কোনও রকম সরকারের ব্যবস্থা ছাড়াই তিনি হেলিকপ্টারে এসে নামেন সিরাজগঞ্জের মাঠে। প্রশাসনের এমন নিস্ক্রিয়তা দেখে প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস সরকারের ভূমিকা ও অভিসন্ধি নিয়ে।