২০২৩ সালের ১০ অগাস্ট ইংল্যান্ডে (England) উদ্ধার হয় ১০ বছরের সারা শরিফের দেহ। এক বছর পর পাকিস্তান থেকে সেই খুনের কথা স্বীকার করে সারার বাবা উরফান শরিফ।দশ বছরের সারা শরিফকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এবার ব্রিটিশ আদালত তার বাবা এবং সৎ মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল। বাবার এক ভাইকেও জেলের সাজা ঘোষণা করা হল।
ইংল্যান্ডের উরফানের বাড়ি থেকে ২০২৩ সালে সারা শরিফের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে তার শরীরে ১০০ টি আঘাতের চিহ্ন ও অন্তত ২৫ টি হাড় ভাঙা ছিল। দেহ উদ্ধারের আগের দিনই উরফান ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বিনাশ বাতুল পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পালিয়ে আসে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইংল্যান্ডে ফোন করে নিজেই মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে উরফান। এরপরই ইসলামাবাদ পুলিশের সাহায্যে এই দম্পতিকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়ায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, উরফান নিজের রাগ প্রশমনের জন্য ছোট্ট সারাকে অমানুষিক মারধর করত। নিজে ব্যাট দিয়ে মারার কথা স্বীকার করে সে। অন্যদিকে তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বাতুল প্রথম পক্ষের কন্যা সারাকে কখনো মেনে নিতে পারেনি। মারের দাগ লুকাতে সে উরফানকে সাহায্য করত। সেইসঙ্গে সারাকে মেরে ফেলাতে ইন্ধনও যুগিয়েছিল। এই ঘটনায় উরফানকে সাহায্য করেছিল তার ভাই ফয়সাল মালিক।
ব্রিটিশ আদালত এই অপরাধে উরফানের ৪০ বছরের জেল, বাতুলের ৩৩ বছর ও ফয়সালের ১৬ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করে।