প্রতিবেদন: বাণিজ্যে (Trade) রেকর্ড ঘাটতি। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ৩৭.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা প্রধানত সোনা আমদানিতে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি এবং রফতানিতে পতনের কারণে ঘটেছে। দেশে আমদানি ২৭ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৭০ বিলিয়নে পৌঁছেছে, যার মধ্যে সোনার আমদানি চারগুণ বেড়ে ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তেলজাত পণ্যের পর এখন ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি পণ্য হল সোনা। বাণিজ্য মন্ত্রক সোনার আমদানিকে ঘাটতির কারণ হিসেবে দেখিয়ে বলেছে, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি অস্থির শেয়ার বাজারের পরিবর্তে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। কেন্দ্রের হিসাব, অন্যান্য বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন বৈদ্যুতিন পণ্যের ১৭.৪% বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম পণ্য ৭.৯%, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ১২.৮%, রাসায়নিক পণ্য ৬.৫% এবং তৈলবীজ থেকে উৎপন্ন পণ্য ৮৭.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাণিজ্য ঘাটতির সম্প্রসারণ ভারতের চলতি অর্থবর্ষে সম্পদের ঘাটতি এবং টাকার মূল্যায়নের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সদ্যোজাতর অক্সিজেন-পাইপ চুরি বিজেপি রাজ্যের হাসপাতালে
অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি জিডিপির ১.৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পূর্বে ১% হিসেবে অনুমান করা হয়েছিল। আইসিআরএ’র প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা ও আউটরিচ বিভাগের প্রধান আদিতি নায়ার বলেছেন, নভেম্বর ২০২৪-এর বাণিজ্য ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করছি যে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি জিডিপির ২.৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে, যা পূর্ববর্তী প্রত্যাশার ২% থেকে অনেক বেশি। এটি দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হবে। আমরা ২০২৫-এর আর্থিক বছরের জন্য কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতির পূর্বাভাস ১% থেকে সংশোধন করে ১.৪% করেছি। এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে ভারতের মোট রফতানি ২.২% বেড়ে ২৮৪.৩১ বিলিয়নে ডলারে পৌঁছেছে, একই সময়ে আমদানি বেড়ে ৮.৩% হয়ে ৪৮৬.৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা ২০২৫ এর প্রথম আট মাসে একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নির্দেশ করছে।