প্রতিবেদন: হাসিনা-জমানার অবসান হতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সীমা ছাড়াচ্ছে। চলতি বছর হিন্দুদের উপর হিংসার ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। এর বেশিটাই ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর। শুক্রবার রাজ্যসভায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ছবি তুলে ধরে এই তথ্য জানাল বিদেশমন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য, এবছর পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। রাজ্যসভায় পরিসংখ্যান দিয়ে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের সরকারকেই আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন-পাঁচ রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস, জম্মু-কাশ্মীর হিমাঙ্কের নীচে
বিদেশমন্ত্রকের সংসদে পেশ করা তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ৪৭টি অত্যাচারের ঘটনা নথিভুক্ত হয়। ২০২৩ সালে তা ছিল ৩০২। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যাই বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২,২০০। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান ছাড়া ভারতের অন্য কোনও প্রতিবেশী দেশে হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার ঘটনা নিয়ে ৯ ডিসেম্বর ঢাকা গিয়ে কথা বলেছিলেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। প্রথমে লাগাতার অস্বীকার করলেও বিদেশসচিবের ঢাকা সফরের পর এই ধরনের কিছু ঘটনার বিষয়ে চাপে পড়ে পদক্ষেপ নেয় ইউনুস প্রশাসন।
আরও পড়ুন-মাতৃস্নেহের সুধাধারায়
শুক্রবার রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। সেখানে প্রতিবেশী দুই দেশে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার তথ্য তুলে ধরে জানান, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকার সংগঠনের থেকে নির্যাতনের পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এবিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্র আশা করে বাংলাদেশ সরকার সেখানকার হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে। একইভাবে পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গেও এই ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রক আলোচনা করেছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক মাধ্যমে হিন্দুদের উপর হিংসার বিষয়টি পাকিস্তান সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংকট উপযুক্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তুলে
ধরা হবে।