প্রতিবেদন : আরজি কর ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে ৫৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে জেরা করলেন বিচারক। আদালতে মূল অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তার কথা গুরুত্ব সহকারে রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার শুনানি চলে। সেখানে বিচারকের প্রশ্নের জবাব দেয় সঞ্জয় রাই। সেইসময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছরের ২ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন-১২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য রাজ্যের বরাদ্দ আরও ১০ কোটি
এরপর সিবিআই ও অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনবে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী লিখিত আকারে নিজেদের অবস্থান জানাবেন। এভাবেই দ্রুততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া চলছে আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার খুন-ধর্ষণকাণ্ডে। ইতিমধ্যেই আরজি করের নৃশংস ঘটনার পর রাজ্যে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও খুন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করেছে রাজ্য সরকার। কুলতলি ও ফরাক্কায় নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরজি করের ঘটনা চার মাস হয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি। রাজ্য পুলিশে ভরসা না রেখে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার পর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রাইকে একমাত্র অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে আরজি করের অন্য মামলায় অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তে কালবিলম্বের কারণে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।