সোমনাথ বিশ্বাস: কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে দু-দুবার মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আপাতত রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ নিয়েছেন শোভনবাবু। প্রায় বছর চারেক আগে ছেড়েছেন বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি। মেয়র পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। সেই থেকে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ নেই। শেষ কয়েক বছর ‘অভিভাবকহীন’ ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড। এই অবস্থায় শাপমোচনে ঘর সংসার সামলে ওয়ার্ডের মানুষের পাশে দাঁড়ান রত্না চট্টোপাধ্যায়। কাউন্সিলর না হয়েও ওয়ার্ডের যাবতীয় কাজকর্ম দেখাশুনো করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রত্না। করোনা থেকে আমপান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দিনে-রাতে আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থেকেছেন রত্না।
আরও পড়ুন : কলকাতার হবে আরও উন্নয়ন : দেবাশিস কুমার
এহেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সামনে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্সিলর হওয়ার হাতছানি। এর আগে স্বামীর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন। এবার কাউন্সিলর হওয়ার পালা। তাঁর কথায়, ‘বিধায়ক হব কোনওদিন ভাবিনি। তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব। ওয়ার্ডের সঙ্গে এতটাই আত্মিকভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে আমার কখনও মনে হয়নি আমি কাউন্সিলর নই।’ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ভাবিনি কোনওদিন বিধায়ক হব। সেই সম্মান দেওয়ার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার আশা আসন্ন নির্বাচনে জিতে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব।’