প্রতিবেদন : কেন্দ্রের বঞ্চনা চলছে লাগাতার। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের টাকা দেয়নি। দেয়নি আবাস যোজনার বাড়ি। জিএসটি-সহ রাজ্যর প্রাপ্য বকেয়াও মেটায়নি কেন্দ্র। মোদি সরকারের সেই বঞ্চনাকে উপেক্ষা করে বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা যে কেন্দ্রকে তোয়াক্কা করে না, বাংলা যে স্বাবলম্বী, তার প্রমাণ দিয়ে প্রতিশ্রুতি মতো একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, গরিব খেটে খাওয়া মানুষের জন্য চালু করেছেন কর্মশ্রী প্রকল্প। আবার ১২ লক্ষ পরিবারকে দিয়েছেন বাংলার বাড়ি। আরও ১৬ লক্ষ বাংলার বাড়ির পরিকল্পনা চূড়ান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জোড়া চালে কুপোকাত নরেন্দ্র মোদি সরকার ও বিজেপি। বাংলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কেন্দ্রের সরকার জনবিরোধী আর বিজেপি গরিব ও বাংলাবিরোধী।
আরও পড়ুন-মুম্বইতে এসইউভি চাপা দিয়ে ফুটপাথে ঘুমন্ত শিশুকে হত্যা নাবালকের
কেন্দ্রের মোদি সরকার ১০০ দিনের কর্মীদের বকেয়া টাকা দেয়নি। বারবার আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী তদ্বির করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ধরনা দিয়েছেন। তারপরও বাংলার প্রাপ্তি থেকেছে শূন্য। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন তিনি গরিব খেটে খাওয়া ১০০ দিনের কর্মীদের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দেবেন। সেইমতো ৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারের বকেয়া মিটিয়েছেন জননেত্রী। শুধু তাই নয়, একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের জন্য চালু করেছেন কর্মশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পে ৫০ থেকে ৬০ দিনের কাজ পাবেন শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত ৪৩ লক্ষ শ্রমিক ৫৩ দিনের কাজ পেয়েছেন। এরপর তিনি আবাস বঞ্চনাতেও কেন্দ্রের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। কেন্দ্রকে তিনি ডেডলাইন দিয়েছিলেন। সেই ডেডলাইন পেরিয়ে যাবার পর, মুখ্যমন্ত্রী ১২ লক্ষ পরিবারকে বাংলার বাড়ি উপহার দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি ঘোষণা করেছেন আরও ১৬ লক্ষ পরিবার বাংলার বাড়ি পাবেন। কথা দিলে কথা রাখেন তিনি। ফলে বাংলার মানুষ জানেন, তাঁদের পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই জোড়া মাস্টারস্ট্রোক বিজেপিকে পেনসিল ধরিয়ে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি উদ্যোগ ঘুরিয়ে দিয়েছে খেলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই বাংলার মানুষের মনে পাকাপাকি জায়গা খুইয়েছে বিজেপি। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর মা-মাটি-মানুষের রাজনীতিতে বোল্ড আউট মোদি।