প্রতিবেদন : আগামী ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই মেঘালয় ছেয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পতকায়। মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ কথা বলেছেন কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তাঁর আশা, অদূর ভবিষ্যতে পাহাড়ি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেসই।
আরও পড়ুন : ১৩১-এ রত্নাই ফোটাবেন জোড়াফুল
মেঘালয়ের রাজনীতির মাটিতে এখন অনেকটাই গভীরে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শেকড়। কংগ্রেসকে গভীর অস্বস্তিতে ফেলে ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধীপক্ষ হিসেবে রাজ্যে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে দল। বিরোধী দলের মর্যাদা চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ইউনিটও খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবারে রাজ্য রাজনীতির অনেক হেভিওয়েটই যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৃণমূলস্তরের কর্মী-সমর্থকরাও উদ্গ্রীব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পতাকা হাতে তুলে নিতে। মঙ্গলবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেঘালয়ের এই বাস্তব পরিস্থিতির কথাই তুলে ধরলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। বুঝিয়ে দিলেন, নিকট ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই আসবে শাসন ক্ষমতায়। গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আগামী ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে গোটা রাজ্য ছেয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকায়। দেখতে থাকুন।’ তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা কি সত্যিই ন্যায়বিচার পাচ্ছি? মানুষের বিশ্বাস, ভরসা কিন্তু আমাদের উপরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ন্যায়বিচার দেবেন। বাংলার পাশাপাশি শিলংয়েও ফুটবে ঘাসফুল।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসে সোমবার দেখা করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেঘালয়ের রাজনৈতিক সমীকরণে তৃণমূলের দ্রুত উত্থানের ছবি তুলে ধরেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে অতিসম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তাঁরা এক নিমেষে বদলে দিয়েছেন মেঘালয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। ঘুম ছুটে গিয়েছে বিজেপিরও।