প্রতিবেদন: মধ্যযুগীয় অত্যাচার বিজেপ-নীতীশের বিহারে। বেধড়ক মারধোর করে কান ধরে ওঠবোস করানো হল এক যুবককে। মুহূর্তের মধ্যেই চোখে পড়ল এক ন্যক্কারজনক ঘটনার দৃশ্য, থুতু চাটতে বাধ্য করা হল ওই যুবককে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার সাক্ষী হল মুজফফরপুরের একটি কলেজে। ওই কলেজের মধ্যেই এমন ঘৃণ্য আচরণ করা হল যুবকটির সঙ্গে, যা প্রকৃত অর্থেই মানবিকতার তীব্র অবমাননা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই অত্যাচারের দৃশ্য। এই ঘটনায় ঝড় উঠেছে সমালোচনা এবং নিন্দার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এমন অমানবিক ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নীতীশের প্রশাসনের অপদার্থতা।
আরও পড়ুন-গেরুয়া সরকারের অপদার্থতা, অসমে অব্যাহত বাল্যবিবাহ
ঘটনাটি ঘটেছে মুজফফরপুরের একটি বেসরকারি কলেজে। মারধরে অভিযুক্ত ৩ যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। লাঞ্ছিত যুবকের মা ৩ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশে। যুবকটিকে যারা মারধর করে থুতু চাটিয়েছে তারা আদৌ ওই কলেজের ছাত্র কিনা সেব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। এটি র্যগিংয়ের ঘটনা কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে অন্য একটি সূত্রে পুলিশ জেনেছে, যুবকটি বেনারস ব্যাঙ্কচক নামে একটি জায়গায় গিয়েছিলেন কাজের জন্য। সেখান থেকেই আচমকাই তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের মাঠে। লাঠি এবং বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে কান ধরে ওঠবোস করানো হয় তাঁকে। তারপরে চাটানো হয় থুতু। যুবকটি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কিছু বলতে চেষ্টা করলেও তাতে কান দেয়নি হামলাকারীরা। উল্টে নগদ ২০০০ টাকা তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ওইসময় ৩ অভিযুক্ত ছাড়াও ঘটনাস্থলে দেখা যায় আরও কয়েকটি ছেলেমেয়েকেও। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। হামলাকারীরা নিগৃহীত যুবকের পূর্বপরিচিত কিনা, বোঝা যাচ্ছে না তাও। তবে এলাকার মানুষের সন্দেহ সব বুঝেও না বোঝার ভান করছে নীতীশের পুলিশ। আড়াল করার চেষ্টা করছে অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন-ঢাকায় ছিনতাইবাজদের দাপট, সাড়ে ৪ মাসে খুন ৭
নীতীশ কুমার দাবি করে থাকেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বিহারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে গুণ্ডামি। সাধারণ মানুষ এখন নির্ভাবনায় পথ চলতে পারেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? খুন-ধর্ষণ-নাবালিকা নিগ্রহ থামার কোনও লক্ষণই নেই বিহারে। মুজফফরপুরের অমানবিক ঘটনা নীতীশের অসত্য দাবিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আরও একবার।