প্রতিবেদন : বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এধরনের যেকোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে সমস্ত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। আবাস প্রাপকদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া বা হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত যেই হোক না কেন, অভিযোগকারী যাতে নির্ভয়ে ও নিঃসঙ্কোচে অভিযোগ জানাতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে সোমবার জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে ৪ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ এলে পুলিশ সুপারকে অবগত করে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিযোগকারী উপভোক্তা যাতে নিঃসঙ্কোচে অভিযোগ জানাতে পারেন প্রশাসনের তরফে সেজন্য তাঁদের উৎসাহ দিতে হবে। যাতে অভিযোগ জানাতে তাঁরা ভয় না পান। আবাস সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে জেলা স্তরে খোলা কন্ট্রোল রুমের নম্বর যাতে সব উপভোক্তার কাছে থাকে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আবাস প্রকল্পের টাকা বিলির ক্ষেত্রে যাতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় বজায় থাকে তার উপরেও জোর দিয়েছে নবান্ন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় বৈঠক আয়োজনের জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। গত ১৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ার সূচনা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সিংহভাগ উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন। বাকিরাও এক-দু’দিনের মধ্যেই টাকা পেয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বড়দিনের উপহার সাংসদের
যোগ্য প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর যাবতীয় সমস্যা এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমেই এই প্রকল্পের যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের তরফে প্রত্যেক উপভোক্তার মোবাইলে একটি করে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। কোনও উপভোক্তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়নি বলে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন।