প্রতিবেদন : মেধাবী ছাত্র। সারাদিন ইংরেজি সাহিত্যেই মগ্ন থাকত। বাবা-পিসতুতো দাদাকে সেই ছেলেই কি না নৃশংসভাবে খুন করল? কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ির বৈশ্যপাড়ার ঘটনা। সোমবার সকালে যা ঘটল তা বাসিন্দারা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। হাড় হিম করা ঘটনা। বাবাকে খুন করে আলমারিতে কম্বল পেঁচিয়ে রেখে আর পিসতুতো দাদার দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে পলাতক যুবক। নাম প্রণব বৈশ্য।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সোমবার সকালে প্রণবের বাবা বাবুলচন্দ্র বৈশ্য (৬০) এবং পিসতুতো দাদা গোপাল রায় (৪০)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রণবই এই দু’জনকে খুন করেছে বলে প্রাথমিক সন্দেহ পুলিশের। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি গাঁজার নেশায় চুর হয়ে থাকত প্রণব। রাতদিন বাবার সঙ্গে অশান্তি চলত। প্রণবের পিসি মাস তিনেক আগে একদিনের জ্বরে মারা যান। তখনও এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু সন্দেহ বাড়ে বাকি ঘটনার পর। রবিবার রাতে বাবা বাবুল চন্দ্রের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছিল প্রণবের। সোমবার সকালে এক মাছ বিক্রেতা বাড়িতে এসেই ডাকাডাকি করেন এলাকার বাসিন্দাদের। তিনি জানান প্রণব ফোন করে বলে একটি মাছ দিয়ে যেতে। মাছবিক্রেতা এসে দেখেন একিট চিঠি পড়ে রয়েছে, তাতে লেখা বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছি। বারান্দা ধরে এগোতেই পা থেমে যায় তাঁর। চোখে পড়ে চাপ চাপ রক্ত। সন্দেহ হতেই প্রতিবেশীদের ডাকেন পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে ওই বাড়ি থেকেই দুটি দেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার চন্দন দাস, কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল-সহ অন্য আধিকারিকরা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রণবের খোঁজে চলছে তল্লাশি।