চেন্নাইয়ের (Chennai) মাদুরভয়ালে নিজের ঘরের শৌচাগার থেকে ৩২ বছর বয়সি অধ্যাপকের দেহ উদ্ধার হল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দেখা যায় তাঁর মুখে জড়ানো রয়েছে পলিথিনের ব্যাগ। এহেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খুন না আত্মহত্যা, যদিও সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত অধ্যাপকের নাম প্রহর কুমার কারওয়ার। উত্তরপ্রদেশের এক বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সিন্ধু
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যাবেলা থেকেই পরিবারের লোকজন ফোন করলেও ফোন তুলছিলেন না অধ্যাপক। এরপরেই পরিবারের তরফে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। স্ত্রী অক্ষরা জানিয়েছেন বন্ধু ও প্রতিবেশিরা বহুবার ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেননি ওই অধ্যাপক। এরপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। অবশেষে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায় শৌচাগারে কলের কাছে তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-বিপন্ন মাছ ধরা বিড়ালেরা
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অধ্যাপকের। ঘরের সব জানলা-দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, মৃতের শরীরে কোনও আঘাত কিংবা ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে সত্যি আত্মহত্যা না খুন সেই বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। মৃতের স্ত্রী জানান চার মাস আগে অধ্যাপকের পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বিকেলেই স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। হঠাৎ কেন আত্মহত্যা করলেন, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্ত্রী। মৃতের দেহটি কিল্পক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।