আজ হাইকোর্টে ছিল আর জি করকাণ্ডের (RGKar) শুনানি। কিন্তু নিহত চিকিৎসকের পরিবারের মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করলেন না বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নজরদারি করছে। তাই তাঁর পক্ষে এই মামলা গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। চিকিৎসকের পরিবারকে এই মর্মে বিচারপতি জানান, ‘আপনারা প্রধান বিচারপতির কাছে যান। তিনি যদি আমাকে এই মামলা শুনতে বলেন তাহলে আমি শুনব। তার আগে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।’ বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারবেন না বলে জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আরও পড়ুন-তুষারপাত মানালিতে, আটকে হাজারখানেক গাড়ি, উদ্ধারে পুলিশ
৪২টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আর জি কর মেডিক্য়ালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। ১৫ জানুয়ারি এই মামলায় পরবর্তী শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। ৯০ দিনে চার্জশিট সিবিআই চার্জশিট পেশ করতে ব্য়র্থ হওয়ায় জামিন পেয়ে গেছেন সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
আরও পড়ুন-গাড়ির কাঁচে লেখার ‘অপরাধে’ ন’বছরের দলিত শিশুকে বেধড়ক মার মালিকের
পরিবারের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, ক্রাইম সিনে ধস্তাধস্তির কোনরকম চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে, কি ঘটনার পর ঘটনাস্থল নতুন করে সাজানো হয়েছিল ? ময়নাতদন্তে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু, ধস্তাধস্তির কোনও শারীরিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ক্রাইম সিনকে ভুল পথে চালিত করতে কি এই ধরণের কাজ করা হয়েছে? সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও রয়েছে তাদের একাধিক অভিযোগ। তবে পরিবারের সবরকম হতাশার মান্যতা দিতে রাজি হন নি বিচারপতি। নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কোন যুক্তি তিনি খুঁজে পান নি। উল্টে ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতির থেকে ছাড়পত্র পেলে তবেই তিনি এই মামলার বিচারপর্ব এগিয়ে নিয়ে যাবেন।