দিল্লি হাইকোর্টের রায়: ধর্ষণ-অ্যাসিড আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক

Must read

প্রতিবেদন : ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে সব হাসপাতালকে। একইসঙ্গে যে কোনও ধরনের যৌন নির্যাতন, অ্যাসিড হামলা এবং নাবালক-নাবালিকা নির্যাতনের মামলার (পকসো) ক্ষেত্রেও আক্রান্তদের অবশ্যই এই সুবিধা দিতে হবে। অন্যথায় জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এই তালিকায় শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির জন্য এই নির্দেশ কার্যকর হবে। আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে যে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ৩৯৭ ধারায় আগে থেকেই এই বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এই আইন অনুসারে, সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল বা অন্য কোনও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নির্যাতিতাদের বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। সাবেক ফৌজদারি দণ্ডবিধির (সিআরপিসি) ৩৫৭ সি ধারাতেও এই বিষয়ে বলা আছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এসেছে দিল্লি হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন: সারদামণির জীবনদর্শন বাম-বিজেপি বোঝে না

সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতি প্রতিভা এম সিং এবং বিচারপতি অমিত শর্মার ডিভিশন বেঞ্চে এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের মামলার শুনানি চলছিল। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একাধিকবার যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। ওই মামলার শুনানির সময়েই আদালতের পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে নির্যাতিতাকে। চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যে কী কী অন্তর্ভুক্ত হবে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিক চিকিৎসা, রোগ নির্ণয়, হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা, বহির্বিভাগে চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তা, শারীরিক পরীক্ষা, অস্ত্রোপচার এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করতে হবে। নির্যাতিতা হাসপাতালে গেলে বিনামূল্যে এই পরিষেবা না দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ফিরিয়ে দিতে পারে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
এরই পাশাপাশি, আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকারদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

Latest article