৪০ ঘণ্টা পরেও ৭০০ ফুট গভীর কুয়োয় আটকে ৩ বছরের শিশু

শিশুটির অবস্থা জানতে ক্যামেরাও ভেতরে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রমশ শিশুটির প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে।

Must read

সোমবার দুপুরে নিজের বাড়িতে খেলছিল চেতনা (Chetana)। বয়স ৩। তাদের বাড়ির জমিতে ৭০০ ফুট গভীর একটি কুয়ো ছিল যার পাশে খেলতে খেলতে হঠাৎ অসাবধানবশতঃ সে কুয়োতে পড়ে যায়। প্রথমে শিশুটি কুয়োর ১৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। পরিবারের লোকেরা তাকে টেনে বার করা চেষ্টা করছিল কিন্তু তার ফলে হল আরো বড় বিপত্তি। সে আরও গভীরে পড়ে যায়। এরপরেই উদ্ধারকাজে হাত লাগায় প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কুয়োটি ৭০০ ফুট গভীর হলেও সেটির ১৫০ ফুট গভীরে আটকে রয়েছে শিশুটি।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে বন্দে ভারতের সামনে ঝাঁপ নাবালিকার

ইতিমধ্যেই ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও তিন বছরের শিশুটিকে গভীর কুয়ো থেকে বার করে আনা যায় নি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুয়োর মুখ সরু হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। শ্বাস-প্রশ্বাসের অভাব মেটাতে শিশুটির জন্য একটি অক্সিজেন পাইপ কুয়োর মুখ দিয়ে নীচে পঠানো হয়েছে। এনডিআরএফ দু’টি পরিকল্পনা করেছেন। এখন একটি পাইলিং মেশিনের সাহায্যে খননের কাজ চলছে। মেশিনটি ১৫০ ফুট পর্যন্ত মাটি খুঁড়তে পারে। যদি এই পদ্ধতি কাজ না করে ওই কুয়োর কাছে জেসিবি মেশিন দিয়ে ১০ ফুট গভীর গর্ত খোড়া হবে। তারপর তার মধ্যে দিয়ে ভেতরে ঢুকে শিশুটিকে বাইরে আনার চেষ্টা করা হবে।

আরও পড়ুন-দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা

শিশুটির অবস্থা জানতে ক্যামেরাও ভেতরে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রমশ শিশুটির প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে। উদ্ধারকারীরা ‘হুক’ কৌশলের মাধ্যমে শিশুটিকে দ্রুত বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথমে শিশুটিকে একটি রিংয়ের মধ্যে আটকে বের করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই রিং গর্তে আটকে যায়। তাই সেই পদ্ধতি বিফলে যায়।

Latest article