তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: সকাল থেকেই বড়দিনের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কখনও কখনও আবার হয়েছে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও। তবু এই আবহেই সকাল থেকে ফেস্টিভ মুডে কাটাল সৈকত শহর দিঘা। মানুষের ভিড়ে ও আনন্দে জমজমাট হয়ে উঠল দিঘার মনোরম সমুদ্র সৈকত। ঝাউবন-সহ পিকনিক স্পটগুলিতে সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন-পাঞ্জাব দ্বৈরথে মোহনবাগানে চোট-কাঁটা
মূলত বছর শেষের এই সময় দিঘায় পর্যটকদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। বড়দিনেও পিকনিকের আনন্দ নিতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন সদলে এসেছিলেন সমুদ্রপাড়ে পিকনিক করতে। তবে চলতি বছর পিকনিকের জন্য ভিড় জমলেও কোথাও যেন অন্যান্য বছরের চেনা ছন্দের অভাব ছিল সৈকত শহরে। বুধবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। গেঁওখালি নদীর ধারেও কড়াই-খুন্তি নিয়ে পিকনিকের আমেজে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। কোনওভাবে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশি নিরাপত্তা ছিল নজরকাড়া। এছাড়াও হলদিয়ার বালুঘাটা সানসেট ভিউ পয়েন্টে পিকনিকের প্রচুর জমায়েত লক্ষ্য করা যায়। গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার ভেতরে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে বন দফতরের। ফলে কাঁটাতারের বাইরেই পিকনিকের আমেজে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। এদিকে কোলাঘাটের রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন পিকনিক করতে চলে আসেন। সেখানে একেবারে নদীর পাড়েই খোলা আকাশের নিচে পিকনিকের আমেজে মেতে ওঠেন তাঁরা। তবে মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে এবছর বহু পরিচিত চেনা ভিড়টা দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন-হাজারো চমক নিয়ে বহরমপুরে শুরু হল ফুড ফেস্টিভ্যাল
অল্পবিস্তর পর্যটকের ভিড় হলেও তা খুবই নগণ্য বলা চলে। এদিকে তাজপুর, শংকরপুর, উদয়পুর-সহ বিভিন্ন সৈকতেও এ বছর পর্যটকের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বলা চলে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পিকনিক স্পটগুলিতে এ বছর তেমন ডিজের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যান্য বছর এই সময় পর্যটকে গমগম করে সৈকত এলাকাগুলি। কিন্তু চলতি বছর অন্য ছবি।