রাজ্যে কৃত্রিম যন্ত্রমেধার হাব, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

২৫ ডিসেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৬৪ হাজার ফুটফলস নিয়ে আশাবাদী তিনি। মন্ত্রিসভার কিছু সিদ্ধান্তের কথাও তিনি জানান।

Must read

আজ, বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সকলকে আগামী বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বড় ঘোষণা করেন। এদিন তিনি বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানান, বলেন, “আমার কাছে অনুরোধ এসেছে, আইটিসি ‘এ এই’ এর উপর একটি গ্লোবাল হাব তৈরি করতে চায়। ওদের বিল্ডিং প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। আমি সময় করতে পারলে বলে দেব। এখনি বলছি না। আইটিসির আরও দু’টি প্রজেক্ট রেডি আছে। আমরা সময় মতো করে দেব।”

২০২৫ সালের ৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ওই সম্মেলনের আগে কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সেটিও উদ্বোধন করে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। জগন্নাথ ধাম উদ্বোধন নিয়েও সকলকে বার্তা দিলেন তিনি। এদিন বছরের শুরুতেই কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়েও শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-কথা রাখলেন, সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জানালেন আগামী কর্মসূচি

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”গ্রামের দিকে এই সময় অনেক মেলা হয়। পৌষমেলা, পিঠেপুলি মেলা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা মেলা, কৃষিমেলা আছেই। এই সমস্ত মেলা থেকে প্রচুর মানুষের উপার্জন হয়। বড়দিন থেকে জানুয়ারি মাস নানারকম মেলা হয়। প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করেন। গ্রামীণ হস্তশিল্প, অন্যান্য সামগ্রীর বিক্রি ভালই হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধি হয়। দেখতে ছোট হলেও, একটা দোকানদারের আয় কিন্তু বড়। দেশের অর্থনীতির স্তম্ভ দোকানদাররা। খুচরো বাজার আছে, পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টির দোকান, মুদির দোকান আছে।”

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং সুর করা গান নিয়ে কনসার্ট কসবায়

২৫ ডিসেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৬৪ হাজার ফুটফলস নিয়ে খুশি তিনি। মন্ত্রিসভার কিছু সিদ্ধান্তের কথাও তিনি জানান। চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে পুরনো অ্যাকোরিয়াম এবং পশু চিকিৎসার জায়গা ছিল যেটার রক্ষনাবেক্ষনের বেশ অভাব ছিল। সেখানে একটি বড় বাজার তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। পশু হাসপাতালটা চিড়িয়াখানা দেখে নেবে। অ্যাকোরিয়াম থাকছে। তাছাড়া আলিপুর মিউজিয়ামের বিপরীতে একটি কাঠামো তৈরি হচ্ছে। সেখানে চামড়ার ব্যাগের বাজার তৈরি হবে। তিনি জানিয়েছেন, ”বাংলায় চামড়া শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫ লক্ষ মানুষ। বিদেশে যে চামড়ার দ্রব্য রফতানি করা হয়, তা বাংলার মানুষ পান না। কিন্তু এবার এখানেই চামড়ার ব্যাগ-জুতো কেনা যাবে। কর্মসংস্থানও বাড়বে।” প্রত্যেক জেলায় শপিং মল এবং সিনেমা হল তৈরির কথাও বলেন তিনি।।

Latest article