প্রতিবেদন : ডার্বি জয়ের পরের ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল এটিকে মোহনবাগান। ২৪ ঘণ্টা আগে ওড়িশার বিরুদ্ধে ছ’গোল হজম করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। বুধবার আন্তোনিও হাবাসের ফুটবলাররা মাঠ ছাড়লেন পাঁচ গোল হজমের লজ্জা নিয়ে! কলকাতার দুই প্রধান যেন গোল হজমের উৎসবে মেতেছে!
এটা ছিল প্রীতম কোটালের ১০০তম আইএসএল ম্যাচ। তবে এই ম্যাচ দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন বাগানের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। হাবাসের তুরুপের তাস হুগো বৌমাসও চূড়ান্ত ব্যর্থ। তাঁকে বিরতির সময়ই তুলে নিতে বাধ্য হন বাগান কোচ। প্রথমার্ধেই তিন গোলে পিছিয়ে পড়েছিল এটিকে মোহনবাগান। খেলা শুরু হওয়ার চার মিনিটেই গোল করেন মুম্বইয়ের তরুণ ফরোয়ার্ড বিক্রমপ্রতাপ সিং। বাঁ প্রান্ত থেকে বাগানের বক্সে গড়ানে ক্রস করেছিলেন বিপিন সিং। তাতে পা ছুঁইয়ে গোল করে যান বিক্রম। এগিয়ে যাওয়ার পর হাবাসের দলকে আরও চেপে ধরেছিল মুম্বই। ২৫ মিনিটে ফের গোল বিক্রমের। এবারেও তাঁকে পাস বাড়িয়েছিলেন বিপিন। ৩৮ মিনিটে ফের গোল হজম করে বসে বাগান। এবার মোর্তাদা ফল হেডে বল নামিয়ে দিয়েছিলেন ফাঁকায় দাঁড়ানো ইগর আঙ্গুলোকে। অসহায় অমরিন্দরকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন মুম্বইয়ের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন : দু’পক্ষকেই দুষছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনরা
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই ফের ধাক্কা খায় বাগান। এবার লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখে মাঠের বাইরে চলে যান দীপক টাংরি। এর এক মিনিটের মধ্যেই চার নম্বর গোল তুলে নেয় মুম্বই। এবার জোহুর ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন ফল। ৫২ মিনিটে পঞ্চম গোল। এবার গোলদাতা বিপিন। খেলার গতির বিরুদ্ধে ৫৯ মিনিটে ব্যবধান কমান বৌমাসের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা ডেভিড উইলিয়ামস। প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে চমৎকার শটে গোল করেন তিনি। যদিও এর পরেও অন্তত দু’বার ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মুম্বই। যদিও কোনও বিপদ ঘটেনি।