জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহেই দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজেই জানালেন সে কথা। বৃহস্পতিবার, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সময় পেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। দিল্লিতে তাঁর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে। সংসদ ভবনে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সংসদে (Parliament) অধিবেশন চলার সময় প্রতিবারই দিল্লি যাই”। এবার ওই সময় সংসদের বাদল অধিবেশন চলবে। সেখানে কেন্দ্রের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর আলাপ আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দিল্লি গেলে অনেক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এবং নির্বাচনের কারণে অনেকদিন সেখানে যাওয়া হয়নি”।
নবান্নে এসে তৃণমূল নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। দিল্লির সীমান্তবর্তী এলাকায় কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনে বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে অবস্থান চালাচ্ছেন কৃষকরা। সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গেও দেখা করতে যেতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এবার দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন অংশের পালিত হবে একুশে জুলাই-এর অনুষ্ঠান। বাংলায় ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রির পরে তৃণমূল সুপ্রিমোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপি-বিরোধী অনেক নেতা-নেত্রীই। দিল্লি গেলে তাঁরা মমতাকে সামনাসামনি সংবর্ধনা দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। বাংলায় বিজেপিকে ধুলিস্যাৎ করে এবং কেন্দ্রে সরকারের বিরোধিতা করে বিজেপি বিরোধী শক্তির মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে সংসদে অধিবেশন চলাকালীন তাঁর দিল্লি সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।