মুষলধারে বৃষ্টিতে ভসল গোটা রাজ্য। আবহাওয়া দফতর আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। তার জেরে সর্তকতা জারি হয় পাহাড় থেকে সমুদ্রে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হল দফায় দফায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ দুই বঙ্গবাসীই এদিনের বৃষ্টিতে নাজেহাল হলেন। প্রবল বর্ষণে বাঁকুড়া জেলায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে গোকুল মাহাত (৪৮) নামে এক ব্যক্তির। এলাকার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মূর্মূ বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে।’ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। পাশাপাশি আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে বৃষ্টি চলবে আরও দু’দিন অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-৫০ লাখ টাকা ঘুষ : ভাইরাল জন বার্লার অডিও টেপ
বৃষ্টির জেরে দিঘার সমুদ্র উপকূলে জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি মহকুমাশাসক দফতর ও ২৫ টি বিডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দিঘা, শঙ্করপুর, মান্দারমণি, তাজপুর এলাকাসহ খেজুরি থেকে হলদিয়া উপকূল এলাকায় প্রশাসন বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে। মৎসজীবীদের জন্যও জারি করা হয়েছে সর্তকতা। একনাগারে বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলিও। বৃষ্টিতে জলমগ্ন ডানকুনি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, নামখানায় জল জমে রয়েছে। কাকদ্বীপ এবং মহকুমা হাসপাতাল, ক্যানিং হাসপাতাল চত্বরে জল জমেছে। খারাপ আবহাওয়ায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দুই প্রান্তে হয়েছে টর্নেডো। হিঙ্গলগঞ্জে টর্নেডো বেশ বড় আকার ধারণ করে। এরপরই ডায়মন্ডহারবারে জল হাতির শুঁড়ের মত ঘুরতে দেখা যায়। জল এলাকায় আছড়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলযন্ত্রনার ছবি উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার মালদহ জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আবার তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। যার জেরে কুলিক নদী সংলগ্ন ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সকালে নাগাদ দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি হয়। উত্তরবঙ্গের ৮জেলার প্রসাশন পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে উত্তরের জেলা প্রসাশন।পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।