প্রতিবেদন : গোটা বিশ্ব এখন ঝুঁকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির দিকে। বহুজাতিক সংস্থাগুলি মানবসম্পদের উপর নির্ভরতা কমাতে এআই প্রযুক্তি ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে চলেছে। এই প্রযুক্তিনির্ভর প্রবণতা ভারতের একটা বড় অংশের মানুষকে কর্মচ্যুতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এআই নির্ভরতার কারণে প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলের ১০ হাজার মানুষ কর্মহীন হতে পারেন। কাজ হারানো কর্মীদের অধিকাংশই ম্যানেজার, ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। ভারতের একটা বড় অংশের মেধাবী তরুণ যুক্ত এই সংস্থার এই পদগুলিতে।
আরও পড়ুন-কৃষক-অসন্তোষই কেন্দ্রের গলার কাঁটা, প্রলেপ দিতে নতুন কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে ধরনের কাজকে সবথেকে বেশি সহজ করেছে তা হল ম্যানেজারদের কাজ। দাবি গুগল সিইও সুন্দর পিচাইয়ের। আর এই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে বিশ্বের আরও একগুচ্ছ সংস্থা। যার ফলে শুধুমাত্র ২০২৪ সালে কর্মহীন হওয়ার তালিকা দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। ২০২৪-এর প্রথমার্ধে ৩৩৩টি সংস্থা ৯৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র গত মে মাসে ৩৯টি সংস্থা থেকে ছাঁটাই হয়েছেন ১০ হাজার জন। মাইক্রোসফট ছাঁটাই করেছে বিভিন্ন বিভাগের ১ হাজার কর্মী। আর সবটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ার কারণে। এবার কোপ পড়ছে গুগলে। সুন্দর পিচাইয়ের দাবি, মূলত ম্যানেজার, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ডিরেক্টর পদে হবে কর্মীছাঁটাই। ভারতে গুগলের চারটি দফতর। সব ক’টিতেই এই পদগুলিতে একাধিক উচ্চমেধার আধিকারিকরা রয়েছেন। এআই প্রযুক্তির প্রথম কোপ পড়তে চলেছে তাঁদের উপর। পিচাইয়ের দাবি ১০ শতাংশ ম্যানেজার পদে ছাঁটাই হবে। এর মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে যোগ্যতার ভিত্তিতে অন্যত্র পদ দেওয়া হলেও বাকিরা সম্পূর্ণভাবে চাকরি হারাবেন। এমনিতেই যখন দেশে কর্মসংস্থানের আকাল, তখন এই সিদ্ধান্ত নতুন করে কর্মহীন তৈরি করবে দেশে।