সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : বাংলাদেশ থেকে ফেরানো হয়েছে ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে (Fisherman)। ওপার বাংলায় তাঁদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী তাঁদের যাতে যথাযথ চিকিৎসা হয় সেই নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেইমতোই বুধবার কাকদ্বীপ হাসপাতালে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে পড়ার অপরাধে তাঁদের ওপর বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড অকথ্য অত্যাচার, মারধর করেছে।
এদিন ফের একবার সেই অভিযোগই করলেন ফিরে আসা মৎস্যজীবীরা। এক মৎস্যজীবী বলেন, তাঁদের একটি ট্রলারের পিছনে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জাহাজ এসে ধাক্কা মারে, সমুদ্রে ছিটকে পড়েন পাঁচজন মৎস্যজীবী, অন্যান্য মৎস্যজীবীরা চারজনকে উদ্ধার করলেও গুণমণি দাসকে উদ্ধার করা যায়নি। অপর এক মৎস্যজীবী সুভাষ দাস বলেন, জীবনে এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। কোস্টগার্ডের পুলিশ আমাদেরকে বেঁধে পায়ের তলায়, যৌনাঙ্গে আঘাত করেছে। সমস্ত শরীরে ব্যথা, রক্ত জমে আছে। ওদের জন্য আমাদের এক মৎস্যজীবীকে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি।
গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতীয় জলসীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশি জলসীমানায় ঢুকে পড়ার কারণে ৬টি ট্রলার-সহ ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে (Fisherman) আটক করে বাংলাদেশি উপকূল রক্ষীবাহিনী। বাংলাদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৯৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। বাংলাদেশে থাকাকালীন ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করে বাংলাদেশি নৌবাহিনী। বাংলাদেশ-ফেরত ৯৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর মধ্যে ২২ জনের আঘাত গুরুতর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ সেই অসুস্থ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হল কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, অর্থোপেডিক এবং সার্জেনদের দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। অধিকাংশ মৎস্যজীবীর শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমে আছে, কালশিটে পড়ে গেছে এবং পায়ের তলায় যথেষ্ট আঘাত আছে। এঁদের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এক্সরে এবং চেস্ট এক্সরে করা হচ্ছে। স্বাভাবিক হতে প্রায় দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।