পরিযায়ী পাখির গণনা শুরু হবে চলতি মাসেই

বনবিভাগ, পশুপ্রেমী সংগঠন, পরিবেশপ্রেমীদের নিয়ে এই কাজ করা হবে উত্তর দিনাজপুর জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।

Must read

অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ : উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এখন শীতের সকাল শুরু হচ্ছে একঝাঁক দলবেঁধে আসা পাখির কলতানে। রায়গঞ্জ বনবিভাগের বনাধিকারিক ভূপেন বিশ্বকর্মা জানান, মূলত মাছ, শামুক-সহ জলজ জীবের উপর এই সকল পাখিদের খাদ্য নির্ভর করে। চলতি কথায় বালিহাঁস বলা হলেও এদের মধ্যে রয়েছে নানা প্রজাতি। গিড়িয়া হাঁস, দিগ হাঁস, ভুঁতি হাঁস, ছোট ডুবডুবি-সহ আরও নানা ধরনের পাখি রয়েছে। চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই পরিযায়ীদের গণনার কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন-সন্তোষজয়ী ফুটবলারদের সংবর্ধনায় ক্রীড়ামন্ত্রীর আহ্বান, লিগে খেলুক শুধু বাংলার ছেলেরাই

বনবিভাগ, পশুপ্রেমী সংগঠন, পরিবেশপ্রেমীদের নিয়ে এই কাজ করা হবে উত্তর দিনাজপুর জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। জুন জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নানা ধরনের পরিযায়ী পাখিদের অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে এই এলাকা। ওপেন বিলস্টোর্ক, নাইট হেরন, করমোরেন্ট, গ্লসি আইবিস-সহ পরিযায়ী পাখিরা ফিরে যেতেই ডিসেম্বর মাস থেকে সাউথ ইস্ট এশিয়ার ও নর্থ-ইস্ট এশিয়ার নানা প্রজাতির পাখি আসছে রায়গঞ্জ বনবিভাগে। শুধু কুলিক পক্ষীনিবাসে নয়, বরং শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন পুকুর নয়ানজুলি-সহ জলাশয় গুলিতে দলবেঁধে আসতে দেখা যাচ্ছে এদের। পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্য তথা পরিবেশপ্রেমী সৈকত সাহা জানান, বেশ কিছু বছর ধরে শহরের পুকুর বা জলাশয়গুলোতে দেখা মেলে এই পরিযায়ী পাখিদের। পাখিদের যাতে কেউ ক্ষতি না করে সে-বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত শহর থেকে গ্রাম এই পরিযায়ীদের কলতানে মুখরিত। তাদের সান্নিধ্য বেশ উপভোগ করছেন এলাকাবাসীরা।

Latest article