সুদেষ্ণা ঘোষাল দিল্লি: ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত দুটি বিল পর্যালোচনার জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক বুধবার অনুষ্ঠিত হল নয়াদিল্লিতে৷ প্রথম দিনের বৈঠকেই অগণতান্ত্রিক বিল দুটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের সাংসদরা৷ এই বিল দুটি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী, সাফ জানান তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্যসচেতক তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই প্রসঙ্গেই জেপিসির সামনে তাঁর প্রশ্ন, দেশের নাগরিকদের প্রত্যেকের অধিকার আছে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে আলাদা আলাদাভাবে ভোটদানের৷ এই সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয় কী করে?
আরও পড়ুন-উৎসব-বিরোধীদের ধুয়ে দিলেন সাংসদ
লোকসভার তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সওয়ালে কার্যত নিরুত্তর থাকেন শাসক শিবিরের সাংসদরা৷ কোনওভাবেই এই বিল দুটিকে সমর্থন করবে না তৃণমূল কংগ্রেস, দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানের কথা জানিয়ে এদিনও সোচ্চার ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, আলাদা আলাদা ভাবে বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের আয়োজন করতে গিয়েই হিমশিম খেয়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর পরে কীভাবে তারা একসঙ্গে দুটি বিরাট ভোটের আয়োজন করার জন্য দেশকে বিভ্রান্ত করছে? এই নীতি প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোই নেই দেশে, দাবি করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দেশের সংবিধানে ভোট গ্রহণের পদ্ধতি পরিমার্জনের কথা বলা হলেও সাধারণ নাগরিকদের ভোটদানের অধিকার খর্ব করার কোনও অধিকার প্রদান করা হয়নি সরকারের হাতে, সাফ জানান তৃণমূল সাংসদ। সংসদীয় সূত্রের দাবি, কল্যাণের এই যুক্তি সমর্থন করেন বিরোধী শিবিরের অন্য সাংসদরাও৷
আরও পড়ুন-খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি, সবুজ-ঝড় ভগবানপুর সমবায়ে
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক এবং আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোয় এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত দুটি বিলের কোনও প্রয়োজন নেই বলেও সাফ জানান বিরোধী সাংসদরা৷ এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানতে চান এক দেশ এক ভোট নীতি প্রয়োগ করলে মোদি সরকারের কত টাকা সাশ্রয় হবে? এই প্রশ্নেরও কোনও উত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা৷ এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের পদাধিকারীরা সরকারের তরফে বিল দুটির সম্ভাব্য প্রয়োগপন্থা নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন৷