প্রতিবেদন : বাংলার বাড়ি প্রকল্প রূপায়ণে যাতে কোনওরকম দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে তার জন্যে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। যেহেতু ওই প্রকল্পের রূপায়ণে পঞ্চায়েত স্তরে সব থেকে বেশি অভিযোগ উঠেছে তাই এবার এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত কর্তাদের সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং নির্মাণ সহায়কদের বা পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের ওই প্রকল্পের কাজে কোনওভাবেই নাক গলাতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-হাফ ডজন সিরিজ
পঞ্চায়েতের আধিকারিকদেরও দূরে রাখা হচ্ছে। পুরো দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বিডিওদের হাতে। সেই সঙ্গেই যাঁরা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ইতিমধ্যে টাকা পেয়েছেন তাঁরা ঠিকমতো বাড়ি বানাচ্ছেন কি না, তার উপরে নজর রাখতেও বলা হয়েছে বিডিওদের। কাজ শেষের জন্যে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর অন্যথা হলেই ব্যবস্থা নেবেন বিডিওরা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরিই স্বপ্নের সোপান সন্তোষজয়ী আবু সুফিয়ানের
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামে বাড়ি তৈরি করা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে দফায় দফায় রাজ্যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের রিপোর্টে উঠে এসেছিল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও অনেকে বাড়ি না বানিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আদৌ বাড়ি তৈরি হচ্ছে কি না, তার উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে বিডিওদের। এর জন্যে নিয়মিত নজরদারি চালাবেন ব্লক আধিকারিকরা। ঘরের ছবিও তুলে রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার কাছে কেউ টাকা দাবি করছেন কি না, সে-বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছেন ব্লক আধিকারিকরা।
নবান্নের নির্দেশ, যাঁরা প্রথম দফায় টাকা পেয়েছেন তাঁদের আগামী এপ্রিলের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে লিনটন ঢালাই শেষ করতে হবে। অন্যথায় তাঁদের নোটিশ ধরানো হবে। কেউ ইচ্ছা করে টাকা ফেলে রাখলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন বিডিও।