প্রতিবেদন : কলকাতায় শুরু হল স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্প মেলা ‘সৃষ্টিশ্রী মেলা – ২০২৫’। এর আগে প্রতিবছর জেলাস্তরে হস্তশিল্প মেলা হলেও খাস কলকাতায় রাজ্যস্তরে সৃষ্টিশ্রী মেলা এই প্রথম। শুক্রবার শ্যামবাজারের দেশবন্ধু পার্কে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বসে চাঁদের হাট। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, প্রদীপ মজুমদার, বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, স্থানীয় কাউন্সিলর মিনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়, বিভাগীয় সচিব পি উলগানাথন-সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নাম ‘সৃষ্টিশ্রী’র আক্ষরিক অর্থ যে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, এদিন যুক্তি দিয়ে তা বোঝান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন, পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত সরস মেলারই অঙ্গ এই হস্তশিল্প মেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থভাবে এর নাম দিয়েছেন। কারণ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই সৃষ্টিশ্রী মেলায় মহিলাদের ভূমিকা অনন্য। আর সৃষ্টির মূল হচ্ছেন মহিলারা। তাঁরা ছাড়া সৃষ্টি হয় না। ছেলেদের অনেক দৈহিক ক্ষমতা থাকলেও ধারণ ক্ষমতা থাকে না। তাই সৃষ্টিও হয় না।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরিই স্বপ্নের সোপান সন্তোষজয়ী আবু সুফিয়ানের
এদিন রাজ্যের আরেক মহিলা-মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, এর আগে সরস মেলায় প্রায় ৩২ কোটি টাকার বিক্রিবাট্টা হয়েছে। রাজ্যের যে মহিলারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের জন্য এই রিপোর্টকার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরস মেলায় যে পরিমাণ কেনাবেচা হয়েছে, তাতে স্ব নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আরও উৎসাহ পাবেন। পাশাপাশি, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, কলকাতায় এই প্রথম সৃষ্টিশ্রী মেলা হচ্ছে। এর আগে জেলায়-জেলায় এই মেলা হয়েছে। আমাদের রাজ্যে ৯৪টি সরকারি প্রকল্প রয়েছে। বিরোধীরা বলেন, মেলা-খেলার সরকার। ওদের কোনও ধারণা নেই এই মেলা কীভাবে রাজ্যের অর্থনীতিতে সহযোগিতা করে।
মেলার উদ্বোধনে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, এই মেলার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে জোর দিয়েছেন। মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকার এইধরণের মেলার আয়োজন করে। এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র তুলে ধরেন। এর ফলে সরকারের কোনও লাভ হয় না। নারীক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই এই মেলা। আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সৃষ্টিশ্রী মেলা চলবে।