প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও তদারকিতে রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা শূন্য। এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে খোদ কেন্দ্র। অন্যান্য রাজ্যের থেকে শিক্ষায় কয়েক যোজন এগিয়ে বাংলা। এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরে ড্রপ-আউট শূন্য শতাংশ নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিয়মিত নজরদারিতে এটা সমগ্র দেশের তুলনায়, বাংলার জন্য একটা বিরাট সাফল্য তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এবং সুরে গানের উৎসব আগামিকাল
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে সারা রাজ্য ব্যাপী বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল শিলিগুড়িতে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা সচিব বিনোদ কুমার, জেলাশাসক প্রীতি কোয়েল ও শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সীসুধা কর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ব্যবহার সহনশীলতা এবং সংবেদনশীল করে তোলার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে রাজ্যের বাংলা মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর কৌশল নিয়েও আলোচনা হয় এদিন। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বাড়ানো নিয়েও বিশেষ বৈঠক করা হবে বলে জানা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের জন্যই যে পড়ুয়া সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ড্রপ-আউট কমছে সেই বিষয়টিও এদিন উঠে আসে আলোচনায়। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সারা রাজ্যব্যাপী কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নির্দেশ দিতেই এই কর্মশালা। শিক্ষকদের জন্য একাধিক ট্রেনিং সেন্টার খোলার কথাও বলা হয় এদিন। শিক্ষা নিয়ে যাতে কোনও সঙ্কট না নেমে আসে সেদিকেও কড়া নজরদারি চালাবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলায় নিপীড়িতদের শিক্ষাদর্শন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে মিড-ডে মিল আজ বহু মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে। নিজের ছেলেময়েদের প্রতি যে নজর দিচ্ছেন তেমন ভাবেই স্কুলের বাচ্চাদের প্রতিও নজর দিন। তাঁর কথায়, দু-একজন শিক্ষক রয়েছে যারা জাতিকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় তবে তাদের দমন করুন আপনারা।